বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
সম্ভবত অক্টোবর-নভেম্বর মাসে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে না। তা পিছিয়ে যেতে পারে ২০২২ সালে। সেই সুযোগটাই কাজে লাগাতে চাইছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। আসলে আইপিএল এমন একটি টুর্নামেন্ট, যেখানে অনেক স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে। এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বিসিসিআই যেমন বিপুল অর্থ ঘরে তোলে, তেমনি বিদেশি ক্রিকেটাররা আইপিএলে খেলে ফি বছরে বিপুল অর্থ রোজগার করেন। তাছাড়া বিদেশি ক্রিকেটাররা আইপিএলের চুক্তি বাবদ যে অর্থ পান, তা থেকে ১০ শতাংশ পায় সংশ্লিষ্ট ক্রিকেট বোর্ড। আইপিএল না হলে বিসিসিআইয়ের প্রায় চার হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হবে। তার প্রভাব পড়বে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের বেতনেও। সেই কারণে এবছর আইপিএল আয়োজনে মরিয়া সৌরভ গাঙ্গুলির নেতৃত্বাধীন বিসিসিআই।
করোনা মোকাবিলায় অস্ট্রেলিয়া সরকার সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের সীমানা সিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার জেরে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। ১৫টি দেশ এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেবে। সব ক্রিকেটারদের দুই সপ্তাহের জন্য কোয়ারেন্টাইনেরর ব্যবস্থা করতে হবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে। যা এক প্রকার অসম্ভব। শুধু তাই নয়, গোটা বিশ্বে করোনা পরিস্থিতি একই রকম নয়। কোথাও সংখ্যাটা কম। কোথাও আবার সংক্রমিতের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো এত বড় মাপের টুর্নামেন্টের প্রস্তুতির জন্য যে সময় দরকার সেটা পাওয়া সম্ভব নয় বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। তাই অনেক দেশের ক্রিকেট বোর্ড টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। আগামী ২৮ মে আইসিসির বোর্ড মিটিং রয়েছে। সেখানেই হয়তো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভাগ্য ঠিক হতে পারে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের থেকে ভারতের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে। কারণ করোনার জেরে যে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড, সেই ক্ষত কিছুটা মিটতে পারে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ হলে। এই ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়া সরকার নমনীয় মনোভাব দেখাচ্ছে। বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে আইসিসিকে নাকি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এবছর অক্টোবর-নভেম্বর মাসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ না করে সেটা ২০২২ সালে করা হোক।
বিসিসিআইয়ের এপেক্স কাউন্সিলের সদস্য অংশুমান গায়কোয়াড় জানিয়েছেন, অক্টোবর-নভেম্বর মাসে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ না হলে আইপিএল করতে কোনও অসুবিধা হবে না। বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, অক্টোবর-নভেম্বর উইন্ডো পাওয়া গেলে দেশের মাটিতেই আইপিএল আয়োজনের মরিয়া চেষ্টা চালানো হবে। তবে দেশে করোনা পরিস্থিতি যদি তার মধ্যেও নিয়ন্ত্রণে না আসে তাহলে বিকল্প পথ বেছে নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে আইপিএল হতে পারে বিদেশের মাটিতে।