বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
শনিবার এক সাক্ষাৎকারে যশস্বী বলেন, ‘পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ইনিংসটা আমার জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ একশো।’ সেই সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তাঁর সাফল্যের কারণও এদিন খোলসা করলেন এই তরুণ ক্রিকেটার। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের আগে জোয়ালা স্যার আমাকে বলেছিলেন, টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিততে হবে। সেই মতো আমরা বাউন্সি উইকেটে কীভাবে ব্যাটিং করতে হয়, তার জন্য অনেক অনুশীলন করেছিলাম। কীভাবে শর্ট বলের মোকাবিলা করতে হয়, সেটাও স্যার আমাকে শিখিয়েছিলেন। যা আমার বিশ্বকাপের সময় অনেক কাজে দিয়েছিল।’
বিদেশের মাটিতে বাউন্সের কথা মাথায় রেখে কৃত্রিম ঘাসের পিচেও ব্যাটিং অনুশীলন করেছিলেন যশস্বী। এই নিয়ে তিনি বলেন, ‘যখন আমি বিশ্বকাপে ব্যাটিং করতে নেমেছিলাম, বিশেষ করে শর্ট বলের ওপর বাড়তি সর্তক থাকতাম। হয় আমি পুরোপুরি শট খেলতাম, না হলে ছেড়ে দিতাম। অ্যাস্ট্রোটার্ফের পিচে যেমন বাউন্স হয়ে থাকে, সেখানেও তেমনই বাউন্স ছিল। তাই বিশ্বকাপের আগে আমি অ্যাস্ট্রোটার্ফের পিচে ব্যাটিং করেছিলাম। যা আমার অনেকটাই কাজে দিয়েছিল।’ বিশ্বকাপে একটা ম্যাচ বাদে সব ইনিংসেই অর্ধশতরানের গণ্ডি পার করেছিলেন যশস্বী। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে করেছিলেন শতরান। একমাত্র জাপানের বিরুদ্ধে ২৯ রানে অপরাজিত তিনি। কারণ সেই ম্যাচে প্রতিপক্ষ দলই ৪১ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। সব মিলিয়ে টুর্নামেন্টে ৪০০ রান করেছিলেন এই ভারতীয় ওপেনার।
বিশ্বকাপের আগেই ভারতীয় ক্রিকেটে নিজের ছাপ ফেলতে শুরু করেছিলেন এই তরুণ ক্রিকেটার। ঘরোয়া ক্রিকেটে নজর কাড়ায় আইপিএলেও বড় দর পান তিনি। তবে যশস্বী অবশ্য মাটিতেই পা রাখছেন। তিনি বলেন, ‘আমার জন্য বিশ্বকাপটা এক বড় শিক্ষার জায়গা ছিল। বিদেশের মাটিতে খেলা, যেখানে উইকেট ভিন্ন আচরণ করে। আমি সেখানে ব্যাটিং করাটা বেশ উপভোগ করতাম। যেভাবে নেটে দীর্ঘসময় ব্যাটিং করতাম, তেমনই ক্রিজেও দীর্ঘক্ষণ টিকে থাকার চেষ্টা করতাম। একই সঙ্গে চাপের মুখে কীভাবে নিজের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়, সেটাও আমি রপ্ত করতে সক্ষম হয়েছি। কারণ বিশ্বকাপের আসরে প্রত্যেক ম্যাচে চাপের মধ্যে খেলতে হয়েছে।’
বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের ফাইনালে পৌঁছনোর পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল দুই ওপেনার যশস্বী ও দিব্যাংশ সাক্সেনার। দাদার ইউনিয়ানের হয়ে দীর্ঘদিন একসঙ্গে খেলার ফলে দেশের হয়ে মাঠে নমার সময় সেটা কাজে দিয়েছে বলেই মনে করছেন যশস্বী। তিনি বলেন, ‘আমি যখনই বড় শট খেলতাম, একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করতাম। এমনও হয়েছে, দিব্যাংশ আমাকে বলত, ধরে খেলতে। ম্যাচে অনেকটা সময় বাকি। আমরা ঠিক রান তুলে নেব।’