বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
লেভারকুসেন, ১২ ডিসেম্বর: উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মূলপর্বে পৌঁছনোর জন্য বুধবার জয় প্রয়োজন ছিল বেয়ার লেভারকুসেনের। ঘরের মাঠে প্রবলতর প্রতিপক্ষ জুভেন্তাসের বিরুদ্ধে তাই আক্রমণাত্মক ফুটবল মেলে ধরেছিল জার্মান ক্লাবটি। কিন্তু ডিয়াবি-বেলারাবিরা সহজ সুযোগ নষ্ট করায় তুরিনের ‘ওল্ড লেডি’র দুর্গ অক্ষত থাকে। পক্ষান্তরে, ৭৫ ও ৯২ মিনিটে যথাক্রমে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ও গঞ্জালো ইগুয়েনের গোলে তিন পয়েন্ট তুলে নেয় মরিসিও সারি-ব্রিগেড। ৬ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট পেয়ে গ্রুপ-ডি’র শীর্ষস্থান বজায় রেখেই নক-আউটে পৌঁছল জুভেন্তাস। ঘরের মাঠ ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানোয় গ্রুপের অন্য ম্যাচে লোকোমোটিভ মস্কোকে ২-০ গোলে দ্বিতীয় স্থান পেয়ে রাউন্ড অব সিক্সটিনের টিকিট পেল আতলেতিকো মাদ্রিদ। বিজয়ী দলের হয়ে গোল পেয়েছেন ফেলিক্স ও ফেলিপে।
আগেই গ্রুপের গণ্ডি পেরিয়ে যাওয়ায় এই ম্যাচে তেমন গা লাগাননি রোনাল্ডোরা। কোচ সারিও প্রথম একাদশে হাফ ডজন পরিবর্তন করেন। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটি আক্রমণ শানায় বেয়ার লেভারকুসেন। ১১ মিনিটে ডিয়াবির বাঁ পায়ের জোরালো শট বিপক্ষ দুর্গপ্রহরী গিয়ানলুইগি বুফোঁকে হার মানিয়ে পোস্টে আছড়ে পড়ে। এর আগের মিনিটেই ইগুয়েনের বাড়ানো বল চেষ্টা করেও গোলে ঠেলতে পারেননি রোনাল্ডো। মাঝমাঠের দখল রেখে গোল করার লক্ষ্য ছিল দুই দলেরই। কিন্তু প্রথম ৪৫ মিনিটে কেউই লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি।
বিরতির পরেও বেয়ার লেভারকুসেনের প্রাধান্য ছিল। এরই মধ্যে ৫১ মিনিটে রোনাল্ডোর গোল অফ-সাইডের কারণে বাতিল হয়। ৬৬ মিনিটে বার্নাডেসচির পরিবর্তে পাওলো ডায়বালা মাঠে নামার পর জুভেন্তাসের আক্রমণে তীব্রতা বাড়ে। গতি ও স্কিলের বিচ্ছুরণে বাঁ দিক থেকে বারবার বিপক্ষ রক্ষণকে বেসামাল করে দেন আর্জেন্তাইন তারকাটি। দলের দু’টি গোলের নেপথ্যেই ডায়বালার অবদান রয়েছে। ৭৫ মিনিটে তাঁরই ঠিকানা লেখা মাইনাস গোলে ঠেলতে ভুল হয়নি রোনাল্ডোর (১-০)। সযোজিত সময়ে ইগুয়েনের লক্ষ্যভেদেও তাঁর সহযোগিতা ছিল (২-০)।
ম্যাচের পর জুভেন্তাসের কোচ মরিসিও সারি বলেন, ‘প্রথমার্ধে আমরা কাঙ্ক্ষিত মানে পারফরম্যান্স মেলে ধরতে পারিনি। তাই বেয়ার লেভারকুসেন বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ডায়বালা নামার পর প্রতিপক্ষ ব্যাকফুটে যেতে বাধ্য হয়। আগেই নক-আউটে পৌঁছে গেলেও এই ম্যাচ জিততে চেয়েছিলাম। কারণ, জয়ের ধারাবাহিকতা অভ্যাসে পরিণত না হলে খেতাব পাওয়া সম্ভব নয়। ইগুয়েনরা বুঝিয়ে দিয়েছে, সাফল্যের খিদে তাদের কতটা।’