বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
(গ্রিনউড, মার্শাল, র্যাশফোর্ড)
ম্যাঞ্চেস্টার, ৮ নভেম্বর: প্রিমিয়ার লিগে অত্যন্ত সাদামাটা ফুটবল উপহার দিচ্ছে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। কিন্তু ইউরোপা লিগে তাদের জয়যাত্রা অব্যাহত। বৃহস্পতিবার ঘরের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে গ্রুপ-এল’এর ম্যাচে পার্টিজানকে সহজেই হারিয়ে পরবর্তী পর্যায় (রাউন্ড অব ৩২) নিশ্চিত করল ওলে গানার সোলকজারের দল। চার ম্যাচে ১০ পয়েন্ট পেয়ে এই মুহূর্তে শীর্ষে ম্যান ইউ। গত অক্টোবরে লিভারপুলের বিরুদ্ধে ড্র করার পর টানা পাঁচটি ম্যাচ জিতল ওল্ড ট্রাফোর্ডের ক্লাবটি। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ম্যান ইউ কোচের বিশ্লেষণ, ‘মরশুমের প্রাথমিক ঝড়ঝাপটা আমরা সামলে উঠেছি। এবার শুধুই এগিয়ে যাওয়ার পালা। একাধিক প্রতিশ্রুতিসম্পন্ন ফুটবলার দলে রয়েছে। তাদের খেলা ক্রমশ ভালো হচ্ছে। তবে রক্ষণে এখনও সামান্য দুর্বলতা রয়েছে। যা দ্রুত শুধরে নেওয়াই আমাদের প্রথম লক্ষ্য।’
পার্টিজানের বিরুদ্ধে ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে দল সাজিয়েছিলেন সোলকজার। সিঙ্গল স্ট্রাইকারে অ্যান্টনি মার্শালের ঠিক পিছনেই তিনি ব্যবহার করেন হুয়ান মাতা ও মার্কাস র্যাশফোর্ডকে। ঘরের মাঠে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে ম্যান ইউ। তৃতীয় মিনিটে মার্শালের প্রয়াস জাল কাঁপালেও তা অফ-সাইডের কারণে বাতিল হয়। এরপর পার্টিজানের সাদিকের লক্ষ্যভেদও একই কারণে মান্যতা পায়নি। ক্রমশ ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে ম্যান ইউ। মাঝমাঠে গ্রিনউড-হুয়ান মাতারা প্রেসিং ফুটবল খেলায় বিপক্ষ বাড়তি জায়গা পায়নি। ২১ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত লিড নেয় সোলকজার-ব্রিগেড। বক্সের মধ্যে বল পেয়ে চমৎকার ইনসাইড কাটে গোলমুখ খুলে নেন গ্রিনউড। তারপর মাপা শটে হার মানান পার্টিজান গোলরক্ষককে (১-০)। চলতি মরশুমে গ্রিনউডের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ কিংবদন্তি কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনও। উল্লেখ্য, এই ম্যাচ তিনি গ্যালারিতে বসেই দেখেছেন। ৩৩ মিনিটে দলের দ্বিতীয় গোলের নেপথ্যেও গ্রিনউডের অবদান রয়েছে। তাঁর ব্লক করা বল পেয়ে মার্শাল বুদ্ধিদীপ্ততার সঙ্গে লক্ষ্যভেদ করেন (২-০)। বিরতির আগে মার্কাস র্যাশফোর্ড সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি।
দ্বিতীয়ার্ধেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল ম্যান ইউ ফুটবলারদের কাছে। ৪৯ মিনিটেই তারা তৃতীয় গোল তুলে নেয়। অ্যাশলে ইয়ংরে পাস থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে জাল কাঁপান র্যাশফোর্ড (৩-০)। এরপর তাঁর দু’টি প্রয়াস রুখে দেন পার্টিজান গোলরক্ষক। জয় নিশ্চিত বুঝে কোচ সোলকজার পরিবর্ত হিসেবে ব্যবহার করেন গার্নার, পেরেরা ও লিংগার্ডকে। ম্যাচের শেষ পর্বে পজেশনাল ফুটবল খেলে আধিপত্য বজায় রাখে ম্যান ইউ।