বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে রহিত শর্মার সাফল্যের ভাণ্ডার কানায় কানায় পূর্ণ। তবে টেস্টে এতদিন নিজের খ্যাতির প্রতি সুবিচার করতে পারছিলেন না তিনি। কিন্তু ছবিটা বদলে গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চলতি সিরিজে। ইনিংস শুরু করতে নেমে রীতিমতো রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটের ‘হিটম্যান’। এই সিরিজের চার ইনিংসে তাঁর সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৫২৯ রান। যার মধ্যে রয়েছে দুটি সেঞ্চুরি ও একটি ডাবল-সেঞ্চুরি। রাঁচি টেস্টেও সেঞ্চুরি হাঁকালেন মুম্বইয়ের ডানহাতি ব্যাটসম্যানটি। খেললেন ২১২ রানের ঝলমলে ইনিংস। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছার বন্যায় ভেসে যাচ্ছেন রহিত। প্রাক্তন থেকে বর্তমান ক্রিকেটাররাও বাহবা জানাচ্ছেন তাঁকে।
দ্বিতীয় দিনের শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে রহিতও জানিয়ে দিলেন তাঁর সুখতৃপ্তির কথা। ৩২ বছর বয়সি ডানহাতি ওপেনারটি বলেন, এই সিরিজে চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়েই একের পর এক বড় রানের ইনিংস খেলতে হয়েছে তাঁকে। তবে সেটা দারুণ উপভোগও করেছেন তিনি। রহিতের কথায়, ‘ভারতীয় দলের হয়ে যেখানে যখন সুযোগ পেয়েছি, ভালো করার চেষ্টা করেছি। অনেক ম্যাচে সাফল্য পেয়েছি। আবার কখনো কখনো ব্যর্থ হতে হয়েছে। তবে সবসময় চেষ্টা করি, দলের জন্য নিজের সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার। ইনিংস ওপেন করা হোক কিংবা অন্যকোনও পজিশন, নিজেকে মেলে ধরাই থাকে আমার একমাত্র লক্ষ্য। অবশ্যই ওপেনিংটা আমার পছন্দের জায়গা। এই সিরিজে একজন টেস্ট ওপেনার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে পেরে ভালো লাগছে। আমি জানতাম সুযোগটা কাজে লাগাতে না পারলে অনেক কথা হত। অনেক কিছুই ঘটতে পারত। তাই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলাম, সুযোগটা কাজে লাগানোর জন্য। সেটা আমি পেরেছি।’
টেস্ট কেরিয়ারে এটাই তাঁর প্রথমবার দ্বিশতরান। শুধু ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানোই নয়, একাধিক রেকর্ডও গড়লেন তিনি। প্রথম ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ৫০০ প্লাস রান করে ফেললেন এদিন। এর আগে এই তালিকার শীর্ষে ছিলেন স্বয়ং মহম্মদ আজাহারউদ্দিন। ১৯৯৬-৯৭ সিরিজে ৩৮৮ রান করেছিলেন তিনি। এবার সেই রেকর্ড নিজের দখলে নিলেন ‘হিটম্যান’। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে জীবনের অন্যতম সেরা ইনিংস খেলার পর রহিত এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘রেকর্ডের কথা ভেবে আমি খেলি না। এসব দেখার কথাও আমার নয়। মাঠে খেলার সময় ব্যক্তিগত কীর্তির কথা মাথায় আসে না। শুধু ভাবি, আমাকে রান করতে হবে। রেকর্ড বা কীর্তি আপনার থেকেই হয়ে যায়। রেকর্ড নিয়ে ভাবব অবসরের পরেই। এখন শুধু মন দিয়ে খেলে যেতে চাই।’
নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তোষ প্রকাশের পাশাপাশি অজিঙ্কা রাহানেরও ভূয়শী প্রশংসা করেছেন রহিত। তিনি বলেন, ‘ভারতীয় দলে রাহানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যাটসম্যান। ওর বিশাল অভিজ্ঞতা রয়েছে। নতুন করে কিছু প্রমাণ করার নেই। এই টেস্ট সেটা আবারও বুঝিয়ে দিয়েছে। রাহানের দৃঢ় মানসিকতা আমাকে মুগ্ধ করে। ওর সঙ্গে জুটি বেঁধে ব্যাটিং আমি দারুণ উপভোগ করেছি।’