বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
উমেশের ডেলিভারিতে ব্যাট-প্যাডে খোঁচা দেন ডি’ব্রুইন। বাঁ-দিকে ডাইভ দিয়ে ছোঁ মেরে বল তালুবন্দি করেন ঋদ্ধিমান। দুরন্ত সেই ক্যাচের পর উচ্ছ্বসিত কোহলি ঋদ্ধিমানকে জড়িয়ে ধরে তাঁর কপালে চুম্বন করেন। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসের শেষ দিকে উমেশের বলে ফের একবার লেগ সাইডে ঝাঁপিয়ে ফিলান্ডারকে আউট করেন ঋদ্ধি। ম্যাচের শেষে পাপালির ভূয়সী প্রশংসা করলেন উমেশ। ভারতের অভিজ্ঞ পেসারটি বলেন, ‘উইকেটের পিছনে ঋদ্ধি ভাই থাকলে, বোলাররা অনেকটাই নিশ্চিন্ত থাকতে পারে। এমনকি ভুল করে লেগ সাইডে বল করলেও উইকেট পাওয়ার সুযোগ থাকে। ঠিক যেমন এদিন লেগ সাইডে দু’বার ভুল জায়গায় বল করেও দুটি উইকেট আমি পেয়েছি। পুরোটাই ঋদ্ধিমানের কৃতিত্ব। ও সত্যিই অনবদ্য কিপার।’ উমেশ সেই সঙ্গে বলেন, ‘এদিন আমাকে দুটি উইকেট উপহার দেওয়ার জন্য ঋদ্ধি ভাইকে আমি খাওয়াতে চাই। সেটা আমার কাছে দারুণ আনন্দের হবে।’ ম্যাচ শেষে প্রেজেন্টার সঞ্জয় মঞ্জরেকর সেই কথার রেশ ধরে বলেন, ‘উমেশের কাছে ঋদ্ধির মন পসন্দ ট্রিট চাওয়া উচিত।’ যার উত্তরে ঋদ্ধিমান মুচকি হেসে বলেন, ‘গুজরাতি খাবারের ট্রিট পেলে মন্দ হত না!’
কমেন্ট্রি বক্সে বসে ভারতের প্রাক্তন তারকা ভিভিএস লক্ষ্মণও এদিন প্রশংসার বন্যায় ভাসিয়ে দিয়েছেন ঋদ্ধিমানকে। তিনি বলেন, ‘একজন বোলারের হাতের চোট ও একজন কিপারের কাঁধের চোট অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। এতে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়ের কেরিয়ার শেষ হয়ে যেতে পারে। ঋদ্ধিকে নিয়েও একটা সময় আমি প্রবল উৎকণ্ঠায় ছিলাম। আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের উপদেষ্টা হিসেবে ওকে খুব কাছ থেকে আমি দেখেছি। প্রচণ্ড শৃঙ্খলাপরায়ন ক্রিকেটার। তাই একটা আশা ছিল যে ও ফিরে আসতে পারে। প্রায় ১০ মাস ক্রিকেট মাঠের বাইরে থেকেও আমার বিশ্বাসকে সত্য প্রমাণিত করেছে ঋদ্ধি।’ সেই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘রিহ্যাবে থাকার সময় বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ক্রিকেট আকাদেমিতে কঠোর পরিশ্রম করেছে ঋদ্ধি। ভোর সাড়ে ছটায় মাঠে পৌঁছে নিঃশব্দে বিভিন্ন রকম গ্রিপিং প্র্যাকটিসও করেছে দিনের পর দিন। মাঝে ঋষভ পন্থের উত্থান নিয়ে কোনও রকম চাপে না পড়ে নিজের লক্ষ্যে স্থির থেকেছে। আর তারই সুফল এখন পাচ্ছে পরিশ্রমী ঋদ্ধিমান।’