বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বৃহস্পতিবার ব্রোঞ্জ পদক নিশ্চিত করার পর বিশ্ব বক্সিংয়ের ইতিহাসে মেরি কমকে সবচেয়ে সফল মহিলা বক্সারের তকমা দিয়েছে বিশ্ব বক্সিং সংস্থা। একইদিনে ৪৮ কেজি বিভাগে সেমি-ফাইনালে উঠে ব্রোঞ্জ নিশ্চিত করলেন হরিয়ানার বক্সার মঞ্জু রানি। তিনি কোয়ার্টার ফাইনালে ৪-১ ফলে হারালেন শীর্ষ বাছাই দক্ষিণ কোরিয়ার কিম হায়াং মি’কে। গতবার এই প্রতিযোগিতায় ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার ৫৪ কেজি বিভাগে ভারতের যমুনা বোরো ও ৬৯ কেজি বিভাগে লভলিনা বর্গোহেইন সেমি-ফাইনালে উঠেছেন।
৪৮ কেজি থেকে ৫১ কেজি ক্যাটাগরিতে এসে প্রথমবার পদক নিশ্চিত করলেন মেরি কম। এর আগে ২০১২ ওলিম্পিকসে একই ক্যাটাগরিতে পদক জিতেছিলেন এই পাহাড়ি বক্সার। এদিন কোয়ার্টার ফাইনালে জেতার পর মেরি বলেন, ‘প্রি-কোয়ার্টারের থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে আমার লড়াই অপেক্ষাকৃত সহজ হয়েছে। ভিক্টোরিয়াকে রিংয়ে নামার সঙ্গে সঙ্গেই বুঝে যাই। ওর অ্যাটাক দিয়ে আমার উপর প্রভাব বিস্তার করতে চেয়েছিল। আমি জানতাম, ওর অ্যাটাকের ফাঁকেই আমার সুযোগ আসবে। সেটা কাজে লাগাতেই হবে। আমি সেই লক্ষ্যে সফল। বরং প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে তাইল্যান্ডের জুটামাস জিটপংকে অনেক শক্তিশালী মনে হয়েছে।’
শেষ চারের প্রতিপক্ষ বাসনাজকে নিয়ে মেরি বলেছেন, ‘এর আগে বাসনাজের বিরুদ্ধে কোনওদিন লড়াই করিনি। আমার দুই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জীবনে প্রথমবার মুখোমুখি হলাম। তবে ফাইনালে প্রতিপক্ষ যেই থাকুক, আমি পরোয়া করি না। রিংয়ে নামলে আমি নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। তারপর ফল কী হবে, সেটা তো আর আমার হাতে নেই। আমি ফলে বিশ্বাসী নই, পারফরম্যান্সে বিশ্বাসী। আমি জানি, এবার বিশ্ব বক্সিংয়ে আমার প্রতি পাহাড় প্রমাণ প্রত্যাশা রয়েছে। সেই প্রত্যাশা পূরণের আপ্রাণ চেষ্টা করব। এবার প্রতিযোগিতায় আমার অর্ধেক কাজ শেষ হয়েছে। আশা করি, সোনা জিতব। দেশের মানুষের সমর্থন সবসময় আমার সঙ্গে থাকে। এবারও থাকবে। এটাই আমার কাছে বড় প্রেরণা।’ বিশ্ব বক্সিংয়ে পদক সংখ্যায় এই মুহূর্তে মেরি কমই পুরুষ ও মহিলা ইভেন্ট মিলিয়ে এক নম্বর স্থানে রয়েছেন। কারণ পুরুষ বক্সিংয়ে বিশ্বের সফল বক্সার কিউবার ফেলিক্স স্যাভনের ঝুলিতে রয়েছে ছ’টি সোনা ও একটি রুপো। আর মেরি কমের মুকুটে ইতিমধ্যেই ছ’টি সোনা ও একটি রুপো যুক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ব্রোঞ্জ ধরলে মেরির মুকুটে আটটি পদক জ্বলজ্বল করছে। মেরি কমের বর্ণময় বক্সিং জীবন। বিশ্ব বক্সিংয়ে ছ’টি সোনা ও একটি রুপো ছাড়াও ২০১২ ওলিম্পিকসে ব্রোঞ্জ, পাঁচবার এশিয়ান খেতাব, এশিয়ান ও কমনওয়েলথ গেমসে সোনা ছাড়াও একাধিক আন্তর্জাতিক বক্সিংয়ে পদক পেয়েছেন রাজ্যসভার এই সদস্য। এবছর শুরুটা ভালো করেছেন মেরি কম। গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়া ওপেন এবং ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্টস কাপে সোনা জিতেছেন তিনি।