অংশীদারি কারবারে মন্দার সম্ভাবনা। যে কোনও কাজকর্মে বাধার মধ্যে উন্নতি। বৃত্তিগত শিক্ষা লাভে বিশেষ সাফল্য। ... বিশদ
সোনামুখী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুশল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রামপুরে শালি নদীর সেতু তৈরির জন্য জেলা পরিষদের মাধ্যমে রাজ্যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই নতুন সেতু মঞ্জুর হয়ে যাবে। ততদিন পর্যন্ত ভগ্ন সেতুর উপর পারাপার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেখানে সতর্কতামূলক বোর্ডও টাঙানো হয়েছে। নদীতে বর্তমানে জল নেই। তাই এলাকার মানুষকে একটু কষ্ট করে নদীর গর্ভ দিয়ে চলাচল করার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু, শুনলাম সেতুর উপর থাকা গর্তে মাটি ভরাট করে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। এটা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। বিপদ হলে তখন তার দেয় কে নেবে?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনামুখী ব্লকের রামপুরে শালি নদীর উপর বছর ২৫ আগে প্রায় ১৫০ ফুট দীর্ঘ বক্স আকৃতির সেতু তৈরি হয়। পিয়ারবেড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বীরসিংহপুর, পলসোনা, মাজিরডাঙা প্রভৃতি প্রায় ১০টি গ্রামের বাসিন্দারা রামপুরে সেতু দিয়ে শালি নদী পারাপার করেন। স্কুল, কলেজ, ব্যাঙ্ক সহ নিত্য প্রয়োজনে বাসিন্দারা ওই সেতু পেরিয়ে রামপুর এবং সোনামুখী শহরে যাতায়াত করেন। খরস্রোতা শালি নদীর জলের তোড়ে সেতুটির গোড়ার অংশে ক্রমশ আলগা হয়ে যায়। ২০২৪সালে ৯ আগস্ট সেতুর মাঝে ছ’টি বক্স ভেঙে যায়। নীচের দিকে তা বসে যায়। তাতে যোগাযোগের সমস্যায় পড়েন বাসিন্দারা। তারপরে ওই ভগ্ন সেতু পরিদর্শন করেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তাঁরা ১৩কোটি টাকার ডিপিআর তৈরি করে নতুন সেতুর জন্য রাজ্যে প্রস্তাব পাঠান। যদিও এখনও পর্যন্ত সেতু তৈরির অনুমোদন আসেনি। এদিকে গত পাঁচ মাস ধরে স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা নিত্য প্রয়োজনে হেঁটে, সাইকেলে অথবা বাইকে করে রামপুর ও সোনামুখী সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত করছিলেন। তবে চারচাকার যানবাহন ঘুরপথে নফরডাঙা হয়ে চলাচল করছিল। কিন্তু, সম্প্রতি রামপুরে ভগ্ন সেতুর একাংশে থাকা গর্তে মাটি ভরাট করে তার উপর দিয়ে সাইকেল, মোটর বাইক ছাড়াও ট্রাক্টর এবং অন্যান্য ভারী যানবাহন চলাচল শুরু করেছে। তাতেই বিপদের আশঙ্কা করছে স্থানীয়দের একাংশ। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, পাঁচমাস হয়ে গেল। নতুন সেতু তৈরির কোনও উদ্যোগই নেই। তাই বাসিন্দারা অধৈর্য হয়ে বিপদ জেনেও ঝুঁকি নিয়েই ভাঙা সেতু পারাপার করতে বাধ্য হচ্ছেন। স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও সাইকেল নিয়ে রোজ ভাঙা সেতু পারাপার করছে। এমনকী ভারী যানও চলাচল করছে। যেকোনও সময় বিপদ ঘটতে পারে।