কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, শহরের একদম শেষপ্রান্তে রয়েছে ক্লাব অনন্যা। রাস্তার ধারেই বড় মাঠে বিশাল প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। মণ্ডপের গায়ে বিভিন্ন ঐতিহ্যশালী শিল্পের ছোঁয়ায় ভরে গিয়েছে। কোথাও দেখা যাচ্ছে টেরাকোটার কাজ, আবার কোথাও চাটাই দিয়ে তৈরি শিল্পকর্ম ফুটে উঠেছে মণ্ডপের গায়ে। এছাড়াও মহিলাদের পরার পলা দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে মণ্ডপের প্রবেশদ্বার। সেইসঙ্গে বাঁশের ছিলা দিয়ে তৈরি কুলোও মণ্ডপ সজ্জায় ব্যবহার করা হয়েছে। সবমিলিয়ে শিল্পের সাবেকিয়ানা ফুটে উঠেছে ক্লাব অনন্যার থিমে। সেইসঙ্গে বিশাল বিশাল ঝুড়ির উপর বাংলার ঐতিহ্যবাহী শিল্পগুলোকে রাঙিয়ে তোলা হয়েছে। তবে সিংহের উপর দেবী জগদ্ধাত্রীর বসে থাকার দৃশ্য দেখা যায় সর্বত্র। তবে এখানে সিংহের সঙ্গে বাঘকেও দেখা যায়। যা এই ক্লাবের প্রতিমার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। জগদ্ধাত্রীর সঙ্গে সিংহ ও বাঘ একসঙ্গে খুব একটা দেখা যায় না। পাশাপাশি প্রতিমার মুখ খুব স্নিগ্ধ হয়। যা দেখতে শহরের বহু মানুষ ভিড় জমান।
রাস্তার পাশে পুজো হওয়ায় বাইরে থেকেও দর্শনার্থীদের এই মণ্ডপে আসতে সুবিধা হয়। পুজোর দিন এলাকার দুঃস্থ মানুষদের বস্ত্র বিতরণ করা হয়। যাতে এলাকার সকলেই উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠে। ক্লাবের সম্পাদক সৌরভ দে বলেন, ‘আমাদের এছরের থিমে পোড়ামাটি ও চাটাই শিল্পের উপর কাজ রয়েছে। এগুলো গ্রাম বাংলার হারিয়ে যেতে বসা শিল্প। আমাদের এবারের থিমের নাম ‘বাংলা শিল্পের সাবেকিয়ানা।’ ক্লাবের সহকারী সম্পাদক শুভেন্দু সাহা বলেন, আমাদের পুজো মণ্ডপে এলাকার মানুষজনের ঢল নামে। এলাকার বাড়িগুলির প্রতিটি সদস্য আমাদের এই পুজোতে শামিল হন। ভাসানের দিন এলাকার বাসিন্দারও প্রতিমার সঙ্গে বের হন। ভাসান শেষে সকলে মিলে আনন্দ করে মিষ্টিমুখের পর বাড়ি ফিরি।-নিজস্ব চিত্র