কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। কতজন পড়ুয়ার টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে গিয়েছে তা সেই তালিকায় থাকবে। এছাড়া টেকনিক্যাল কারণে কতজন পড়ুয়া টাকা পায়নি সেটাও জানাতে বলা হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের এক আধিকারিক বলেন, বেশকিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। কোথা থেকে কারচুপি করা হয়েছে সেটাও প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার আসানসোল উত্তর থানার কন্যাপুর হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হয়, তাদের সাতজন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ট্যাব কেনার জন্য দেওয়া দশ হাজার টাকা ঢোকেনি। স্কুলের টিআইসি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বাড়মুন্ডিয়া শাখায় পড়ুয়াদের নিয়ে হাজির হন। সেখান থেকে তিনি জানতে পারেন, ওই সাত জন পড়ুয়ার টাকা অন্য একটি অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। সেই ব্রাঞ্চটি হল উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের কাছে হাপটিয়া। স্কুলের টিআইসি জানিয়েছেন, এই ব্রাঞ্চের অ্যাকাউন্ট নম্বর শুরু হচ্ছে ০৭ সংখ্যা দিয়ে। সেই অ্যাকাউন্টগুলির প্রথম নম্বর রয়েছে ১১ দিয়ে শুরু। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে এত বড় ভুল হল! একই ঘটনা ঘটেছে কাঁকসা থানার মলানদিঘি দুর্গাদাস বিদ্যামন্দিরে। সেখানে মোট ১৪৯জন পড়ুয়া রয়েছে। তারমধ্যে ১৫জনের টাকা চলে গিয়েছে উত্তর দিনাজপুরের একজনের অ্যাকাউন্টে। প্রধান শিক্ষক শোভনলাল সাহা বলেন, আমরা দ্রুত সেখানকার ব্রাঞ্চের সঙ্গে যোগাযোগ করি। জানা যায়, যেদিন টাকা ঢুকেছে সেইদিনই পাঁচটি অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। দশটি অ্যাকাউন্টে তখনও টাকা ছিল। তা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
একই ঘটনার সাক্ষী বেনাচিতি হাইস্কুলের পড়ুয়ারা। পশ্চিম বর্ধমানের ডিআই অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই স্কুলের ২০জন পড়ুয়া টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। পশ্চিম বর্ধমান জেলার একের পর এক স্কুলে বেনিয়ম প্রকাশ্যে আসতেই এবার তা নিয়ে সক্রিয় হল শিক্ষাদপ্তর। এদিন সন্ধ্যায় জেলার ১৬৭ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। যাতে অন্য কোন স্কুলেও সাইবার প্রতারণা হয়ে থাকলে তা যেন প্রকাশ্যে আসে। অতিরিক্ত জেলাশাসক সঞ্জয় পাল বলেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।