ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
এদিন মঞ্চে উঠে খোশমেজাজে তিনি ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্প শোনান। কয়েকদিন আগে মেমারি বিধানসভা কেন্দ্রেই সভা করে গিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ভিড়ের নিরিখে তৃণমূলের এই সভা অমিত শাহের কর্মসূচিকে কয়েক কদম পিছনে ফেলে দিয়েছে। রসুলপুরের বিষ্ণুপুরের ছোট মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সভা করতে হয়েছিল। পূর্ব বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও পাশের জেলা থেকেও বিজেপিকে লোকজন আনতে হয়েছিল। কিন্তু এদিনের সভায় মেমারি বিধানসভা কেন্দ্রের কর্মী-সমর্থকের সংখ্যা বেশি ছিল।
মেমারির উত্তর কৈলাসপুর থেকে এসেছিলেন সাবিত্রী হেমব্রম, পার্বতী হেমব্রমরা। তাঁরা বলেন, এখন সংসার চালাতে চিন্তা করতে হয় না। দিদি প্রতিমাসেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিচ্ছেন। ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার খরচও তিনি জোগাচ্ছেন। তাহলে দিদির পাশে থাকব না কেন? রোদ গরমে থাকা আমাদের অভ্যাস। দিদিকে দেখার জন্য দীর্ঘক্ষণ রোদে দাঁড়িয়ে থাকলেও তেমন কষ্ট হয় না।
সভায় এসেছিলেন মিঠুন বিশ্বাস, সজীব বিশ্বাস। তাঁরা বলেন, দিদিকে দেখার জন্য দুপুর ১২টা থেকে মাঠে চলে এসেছি। তখনই মাঠে বসার জায়গা পাওয়া যাচ্ছিল না। দিদির হেলিকপ্টার নামার পর রাস্তায় দাঁড়িয়ে বহু মানুষকে বক্তব্য শুনতে হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, এদিনের জনজোয়ার তাদেরকে বাড়তি অক্সিজেন দেবে। কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে অন্যরকম উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শর্মিলা সরকার। বিপুল জনসমাগমের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, আমি আপনাদেরকে কোনওদিনই ছেড়ে যাব না। চাকরি ছেড়ে ভোটে দাঁড়িয়েছি। তৃণমূল নেত্রী বলেন, এখানকার প্রার্থী খুব ভালো চিকিৎসক। অনেকে অপপ্রচার করছে। উনি নাকি ছেড়ে চলে যাবেন। একদম মিথ্যা কথা বলছেন। উনি আপনাদের পাশে থাকার জন্যই চাকরি ছেড়ে প্রার্থী হয়েছেন। আপনারা সিপিএম, বিজেপি কংগ্রেসকে একটিও ভোট দেবেন না। বিজেপি মানুষকে মানুষ বলে মনে করছে না। দেশ থেকে বিজেপিকে বিদায় দেওয়ার জন্য তৃণমূল বড় ভূমিকা নেবে। বর্ধমানের মেমারিতে জনসভায় বর্ধমান পূর্বের প্রার্থী শর্মিলা সরকারের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র