ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, এর আগে পূর্ব মেদিনীপুরের ডিআই ছিলেন চাপেশ্বর সর্দার। সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে তমলুকের খামারচক হাইস্কুলে অবৈধ নিয়োগের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার তদন্তে নেমে গত ১০জানুয়ারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক অশোককুমার হাটুয়া ও চাপেশ্বর সর্দারকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। সম্প্রতি তাঁদের নামে চার্জশিটও দিয়েছে সিআইডি। জেল হেফাজতেই ছিলেন চাপেশ্বর। এবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তের স্বার্থে তাঁকে সিআইডি হেফাজত থেকে আদালতের অনুমতি নিয়ে গ্রেপ্তার(শোন অ্যারেস্ট) করল শালবনী থানার পুলিস। আপাতত মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেলে তাঁর ঠাঁই হলেও তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করবে শালবনী থানার পুলিস। পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী ব্লকের ভীমপুর সাঁওতাল উচ্চ বিদ্যালয় এবং ভীমপুর এবিএম গার্লস স্কুলে নিয়ম বহির্ভূত এবং আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন ডিআইয়ের নামে। দু’টি স্কুলই খ্রিস্টান সার্ভিস সোসাইটির অধীনে। রাজ্যের স্কুলগুলিতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ হলেও খ্রিস্টান মিশনারি স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগ করে খ্রিস্টান সার্ভিস সোসাইটির ফাউন্ডার বডি কমিটি। যদিও শিক্ষকদের বেতন দেয় রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, কোনও মিশনারি স্কুলে যে যে বিষয়ে শিক্ষক প্রয়োজন, তা প্রথমে মিটিং ডেকে নির্ধারণ করেন ফাউন্ডার বডি কমিটির সদস্যরা। তারপর নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেন, তার ভিত্তিতে আবেদনকারীদের ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। ইন্টারভিউয়ে মনোনীত হলে প্রার্থীদের প্যানেল প্রকাশ করা হয়। প্যানেলে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা পাঠানো হয় জেলার স্কুল শিক্ষা দপ্তরের ডিআই(মাধ্যমিক)-এর কাছে। ডিআই অনুমতি দিলেই তবে নিয়োগ সম্পন্ন হয়। আর এখানেই জড়িয়ে রয়েছে চাপেশ্বরের কারসাজি।
অভিযোগ, সোসাইটির কর্তাদের একাংশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ফাউন্ডার বডি কমিটির সদস্যদের অন্ধকারে রেখে ভুয়ো প্যানেল তৈরি করে, মোটা টাকার বিনিময়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বহু শিক্ষক নিয়োগ করেছেন প্রাক্তন ডিআই। এমনকী ছুটির দিনেও যোগদান দেখানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, স্যালারি পোর্টালের পাসওয়ার্ড চুরি করে করে অবৈধভাবে বেতন দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এনিয়ে শালবনী থানায় সোসাইটির চেয়ারম্যান প্রভঞ্জন শীট, এগজিকিউটিভ সেক্রেটারি ড্যানিয়েল দাস, চাপেশ্বর সর্দার সহ মোট আটজনের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছিল। এবার চাপেশ্বরকে গ্রেপ্তার করে ঘটনার আর কারা কারা জড়িত, তার হদিশ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
এনিয়ে সোসাইটির ভাইসচেয়ারম্যান স্যামুয়েল হাঁসদা বলেন, নিয়োগে বহু অনিয়ম হয়েছে। সোসাইটির একাংশই জড়িত। আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম। থানায় অভিযোগও জানিয়েছিলাম। আশা করছি বঞ্চিতরা সুবিচার পাবে।
ধৃত চাপেশ্বর সর্দার।-নিজস্ব চিত্র