আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
বিশ্বজুড়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সির প্রভাব বাড়ছে। এবার এআই প্রযুক্তি দেখা যাবে নদীয়া জেলার ভোটগ্রহণ কেন্দ্রেও। প্রশাসনিক মহলের একাংশের দাবি, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে আরও সুরক্ষিত করতে এই ক্যামরা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে। সুনিশ্চিত করবে সংশ্লিষ্ট বুথের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়াকেও। কারণ নদীয়া জেলায় পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে বহু বুথে ভোট লুট, ঝামেলার ঘটনা ঘটেছিল। লোকসভা নির্বাচনে নদীয়া জেলার ৪ হাজার ৬২৪টি বুথে ভোট গ্রহণ হবে। একশো শতাংশ বুথেই এই এআই ক্যামেরা লাগানো থাকবে। প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘এই বিশেষ ক্যামেরার মধ্যে বিভিন্ন টেলিকম সংস্থার সিম থাকবে। যার ভিত্তিতেই ক্যামেরা কাজ করবে। আমরা প্রতি ব্লকে কোথায় কেমন নেটওয়ার্ক সার্ভিস রয়েছে তা খতিয়ে দেখছি। সেইমতো সিম ব্যবহার করা হবে। ফোর জি সিমেই এই কাজ হবে।’ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নদীয়া জেলায় এমন ১১টি বুথ পাওয়া গিয়েছে যেখানে নেটওয়ার্ক সমস্যা রয়েছে। সেইমতো সংশ্লিষ্ট এলাকায় টেলিকম সংস্থার সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে প্রশাসনের তরফ থেকে। যাতে নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক থাকে তা সুনিশ্চিত করাও বড় চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের। এই এআই ক্যামেরার প্রাথমিক বিশেষত্ব হল, সংশ্লিষ্ট বুথে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়াকে ক্যামেরাবন্দি করা। যাকে বলা হয় ওয়েব কাস্টিং। এর ফলে জেলার যে কোনও প্রান্তের গোটা ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়াটাই প্রশাসন কন্ট্রোল রুম থেকে দেখতে পাবে। পাশাপাশি বুথের ভেতরে অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতেও বড় ভূমিকা নেবে এই ক্যামেরা। প্রথমে ক্যামেরা সেক্টর অফিসার ও পোলিং পার্টিকে চিনে নেবে। যাতে তাঁরা বুথের ভেতরে ঢুকলে তাঁদের ‘বহিরাগত’ বলে চিহ্নিত না করে। কিন্তু ভোট চলাকালীন বুথের মধ্যে যদি ভিড় জমায়েত হয়, তাহলে সেই ক্যামেরাতে বুথের মধ্যেই অ্যালার্ম বাজবে। এমনকী কোনওরকম গণ্ডগোলের হলে তার আওয়াজ পেলেও সিগন্যাল দেবে এই ক্যামেরা। সংশ্লিষ্ট সেক্টর অফিসের ফোনে মেসেজ যাবে। সেই সঙ্গে কন্ট্রোল রুমেও বার্তা পাঠাবে এই ক্যামেরা।