আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
এদিন সকালে সড়কপথে লরিতে করে লুকিয়ে গাঁজা পাচারের চেষ্টা করে পাচারকারীরা। লরিতে বস্তায় ধানের কুঁড়ো বোঝাই করা ছিল। তারমধ্যেই সাদা প্লাস্টিকের বস্তায় ছিল গাঁজা। বাইরে থেকে দেখলে মনে হতে পারে বস্তায় ধানের কুঁড়ো নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পুলিস লরিটি আটক করে তল্লাশি চালায়। লরিতে অন্তত ১০টি বস্তায় গাঁজা ভর্তি ছিল। প্রায় ৩ কুইন্টাল ২২ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পুলিসের চোখে ফাঁকি দিতে ওই গাঁজা পাচারের জন্য ধানের কুঁড়োবোঝাই লরি বেছে নেওয়া হয়েছিল। লরির একেবারে নীচের দিকে গাঁজার বস্তাগুলি রাখা হয়। তারপর অনেকগুলি কুঁড়োর বস্তা দিয়ে গাঁজার প্যাকেটগুলি ঢেকে দেওয়া হয়। জেলা পুলিসের এক অধিকারিক বলেন, কোচবিহার থেকে আনা হয়েছিল ওই গাঁজা। তবে সেই গাঁজা কার কাছে তারা ডেলিভারি দিত সেব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি। এবিষয়ে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এই বিপুল পরিমাণ মাদক সীমান্ত পেরিয়ে ওপার বাংলায় পৌঁছে যেত কি না সেটাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পুলিসের চোখে ধুলো দিতে মাদক কারবারিরা গাঁজা পাচারের নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করছে। পুলিসের জালে ধরাও পড়ছে। রাস্তায় মাদক সহ পুলিস এই চালকদের কাউকে গ্রেপ্তার করলে মাদকের কারবারিদের কাছ পর্যন্ত পৌঁছনো সম্ভব হয় না। ফলে কারবারে লাগাম টানা যাচ্ছে না। কোনওভাবে যদি একবার পুলিসকে বোকা বানিয়ে মাদকের কনসাইনমেন্ট রিসিভার পর্যন্ত পৌঁছে যায়, তাহলেই কেল্লাফতে। প্রচুর মুনাফা লোটে কারবারিরা। তাই বারবার ঝুঁকি নিয়ে কখনও ভিনরাজ্য বা উত্তরবঙ্গ থেকে সড়কপথে গাঁজা পাচারের চেষ্টা করছে কারবারিরা।