বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
মায়াপুর ইসকনের চার নম্বর গেট অর্থাৎ নামহট্টের থেকে মায়াপুর চৈতন্য মঠ, বল্লালদিঘি, চাঁদকাজির, রাজাপুর জগন্নাথ মন্দির দর্শনে তীর্থযাত্রীদের নিয়ে যাচ্ছে ওই সব গাড়িগুলো। ১৬ জনের সিট থাকলেও কোনও কোনও গাড়িতে ১৮ থেকে ২০ জনকে উঠতে দেখা যাচ্ছে। মাথা পিছু ভাড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা। গাড়িটি একটু অন্যরকম দেখতে এবং এক সঙ্গে অনেকে একই গাড়িতে যেতে পাড়ার জন্য ভিড়ও বাড়ছে। কিন্তু এতে জীবনের ঝুঁকি যে যথেষ্ট, সেটা সামনে থেকে দেখলেই বোঝা যায়। মায়াপুরের হুলোরঘাটের বাসিন্দা মলয় বৈরাগ্য বলেন, যন্ত্রচালিত মোটর ভ্যানগুলো চারিদিক ঘিরে মাথায় ছাদ লাগিয়ে ছোটখাট চারচাকার মতো দেখতে গাড়ি তৈরি করেছে। তাতে প্রচুর প্যাসেঞ্জার তুলছে।
এই সব গাড়ির কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই বললেই চলে। অবৈধভাবে চলছে। যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এগুলো অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। নদীয়া জেলা পরিষদের কৃষি সেচ ও সমবায় কর্মাধ্যক্ষ তথা জেলা আরটিএ বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান তরান্নুম সুলতানা মির বলেন, এ বিষয়ে ডিস্ট্রিক্ট হেড কোয়ার্টারে মিটিং করেছি। প্রথম হচ্ছে মানুষের জীবন। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, মোটর চালিত যে ইঞ্জিন ভ্যানগুলো আছে ওগুলো প্যাসেঞ্জার বহন করার জন্য নয়, মালপত্র বহনের জন্যে। মিটিংয়ে আমরা জানিয়ে দিয়েছি যে, মোটর চালিত ভ্যানে প্যাসেঞ্জার বহন করা যাবে না। মাল বহন যেমন হচ্ছে তেমনি হবে। প্রতিটা জায়গায় হয়তো সেটা প্রয়োগ হয়নি। প্রতিটা থানায় এই কপি পাঠিয়ে দেওয়া হবে। প্রথম কথা হচ্ছে, ওইসব গাড়ির কোনও পলিউশন সার্টিফিকেট নেই। দ্বিতীয়ত, গাড়ির কোনও কন্ট্রোল নেই। তৃতীয়ত, যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটে জীবনহানি হতে পারে। প্রশাসন এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।নবদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তাপস ঘোষ বলেন, এই সব কাজ পঞ্চায়েত সমিতি বরদাস্ত করবে না। প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। মানুষের জীবনের দাম অনেক বেশি। বেআইনি কাজকে সমর্থক করা যাবে না। পুলিস জানিয়েছে, যন্ত্রচালিত মোটর ভ্যান যেগুলো মালবাহী, সেগুলোতে যাত্রী চাপলে ধরপাকড় করা হচ্ছে। মায়াপুরে এই গাড়িই এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।-নিজস্ব চিত্র