বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
ঘড়ির কাঁটায় তখন ঠিক ৪টে। বিচ্ছিন্ন মেঘলা আকাশ। সঙ্গে ভ্যাপসা গরম। চোখে মুখে ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট কর্মী-সমর্থকদের। তবু উৎসাহে বিন্দুমাত্র খামতি নেই। দিকে দিকে স্লোগান ওঠে,‘যুবরাজ স্বাগতম’। নবজোয়ার কর্মসূচি এদিন কার্যত জনজোয়ারে পরিণত হয়। গরমের মধ্যেই ঠাসা ভিড়। সেই জনপ্লাবনে মিশে যান নবজোয়ারের কাণ্ডারি।
বৃহস্পতিবার নবজোয়ার কর্মসূচি উপলক্ষ্যে নদীয়ায় আসেন অভিষেক। দলের সেকেন্ড ইন কমান্ডকে স্বাগত জানাতে আগে থেকেই তৎপর ছিল দলীয় নেতৃত্ব। তবে এদিন শেষ মুহূর্তে কর্মসূচিতে বেশ কিছু পরিবর্তন হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে কৃষ্ণনগর রোড স্টেশন থেকে নবজোয়ার যাত্রা শুরু হয়। কৃষ্ণনগরের নৃসিংহদেব তলায় পুজো দেওয়ার যে কর্মসূচি ছিল, তা বাতিল হয়। সেখানে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি সৌজন্য সাক্ষাৎ সারেন। তারপর সেখান থেকে ধুবুলিয়ায় আসেন। ধুবুলিয়ায় সদ্য পাট্টা পাওয়া বাসিন্দাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের অভাব ও সমস্যার কথা শোনেন। প্রদীপ বিশ্বাস নামে এক বাসিন্দা বলেন, অভিষেকবাবুর সঙ্গে কথা হল। আমি মুদির দোকানে কাজ করি। উনি আমাদের কী সমস্যা রয়েছে, তা জানতে চান। তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পেরে আমি খুবই খুশি।
ধুবুলিয়ার কর্মসূচি শেষ করে নাকাশিপাড়া যান অভিষেক। সেখানে রোড শোতে জনপ্লাবন দেখা যায়। কাতারে কাতারে মানুষ জাতীয় সড়কে ভিড় করেন। তেরঙা বেলুন, নবজোয়ারের টুপি আর ‘খেলা হবে’ টি-শার্ট পরে হাজির হন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। অভিষেক গাড়ির মাথায় উঠে পড়েন। রাস্তার দু’পাশের জমায়েতের উদ্দেশে গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে দেন। রোড শো যত এগিয়েছে ভিড় ততই বেড়েছে। সন্ধ্যা হলেও বার্ণিয়া, কুলগাছি, পলাশী এলাকায় সাধারণ মানুষ ভিড় করেন। নাকাশিপাড়া ও পলাশীপাড়া এলাকার জনসমুদ্র পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিরোধী শিবিরে কাঁপুনি ধরানোর জন্য যথেষ্ট বলে মত তৃণমূল নেতৃত্বের।
কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান নাসিরুদ্দিন আহমেদ বলেন, নবজোয়ার কর্মসূচি ঘিরে নদীয়ার রাজপথজুড়ে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে। অভিষেকবাবুর কর্মসূচি ঘিরে কর্মী সমর্থকরা উজ্জীবিত। রাত পর্যন্ত কর্মসূচি চলে। বেথুয়াডহরি রোডে নবজোয়ার কর্মসূচিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।-নিজস্ব চিত্র