বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
উল্লেখ্য, গত নির্বাচনে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার একাধিক পঞ্চায়েত দখল করেছিল বিজেপি। বহু পঞ্চায়েতে ভালো রেজাল্টও হয়েছিল। যার প্রভাব পড়ে লোকসভা নির্বাচনেও। কৃষ্ণনগর লোকসভা আসন তৃণমূলের দখলে গেলেও বহু জায়গায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে গেরুয়া শিবির। আর বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বঙ্গ বিজেপির সেই আস্ফালনই দেখা যায় রাজ্যজুড়ে। কিন্তু, ভোটের ফলাফল চুরমার করে দেয় বঙ্গ বিজেপির দম্ভ। তারপর থেকেই দেড় বছর ধরে ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। নানা কর্মসূচির মাধ্যমে জনসংযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যার মধ্যে অন্যতম হল এই বুথ স্বশক্তিকরণ। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের খতিয়ান তুলে ধরার পাশাপাশি বুথে বুথে কমিটি গঠনেও জোর দেওয়া হয়। দু’মাস ধরে চলা সেই কর্মসূচি গত ২৫ মে শেষ হয়। পয়লা জুন অর্থাৎ আজ থেকে ফের নতুন কর্মসূচি শুরু করেছে পদ্ম শিবির। যার নাম মহা জনসম্পর্ক অভিযান। কিন্তু, বুথ কমিটি তৈরির রিপোর্ট চিন্তায় ফেলেছে বিজেপিকে। গ্রাম্য স্তরে বিজেপির সংগঠন যে কতটা ভঙ্গুর, সেটাই সামনে এসেছে।
বিজেপির অন্দরমহল সূত্রে খবর, কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার মাত্র ১৪০০টি বুথে কমিটি গঠন হয়েছে। যেখানে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলায় ৩২০০-র মতো বুথ রয়েছে। অর্থাৎ, মাত্র ৪৩ শতাংশ বুথেই কমিটি গঠন করতে পেরেছে গেরুয়া শিবির। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বুথে সবচেয়ে করুণ অবস্থা।
মাস খানেক আগেও জেলার ৭৫ শতাংশ সংখ্যালঘু বুথে বিজেপির কোনও কমিটি ছিল না। ওই রিপোর্ট সামনে আসার পর আদা জল খেয়ে সংগঠন বিস্তারে ঝাঁপিয়ে ছিল বিজেপি নেতৃত্ব। কারণ, কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলায় মাইনরিটি ভোট এক্স ফ্যাক্টর। কিন্তু, দু’মাসের অভিযানে রিপোর্টে স্পষ্ট হয়েছে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বুথে কমিটি তৈরির পরিসংখ্যানে বিশেষ হেরফের হয়নি।
কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির জেলা আহ্বায়ক সন্দীপ মজুমদার বলেন, মহা জনসম্পর্ক অভিযান শুরু হয়েছে। যে সব জায়গায় কমিটি তৈরি হয়নি, তা অতি সত্ত্বর তৈরি করা হবে। দলীয় কর্মীরা প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলছে। ভয় তো পাচ্ছে তৃণমূল। তাই খারাপ ফলের আশঙ্কা করে ভোট ঘোষণা করছে না।
কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের চেয়ারম্যান নাসিরুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিজেপির কোনওকালেই পঞ্চায়েত স্তরে সংগঠন ছিল না। রাম ভোট বামে গিয়েছিল বলে ওদের আস্ফালন বেড়েছিল। কিন্তু, এবার তা হয়তো হবে না। বামপন্থী কর্মী সমর্থকরা বিজেপিকে চিনতে পেরেছে। তৃণমূলের সংগঠন মজবুত রয়েছে।