বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এনিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিস সুপার কামনাশিস সেন বলেন, আইএসও সার্টিফাইড হতে গেলে কিছু শর্ত থাকে। কাটোয়া থানা সেই সবকিছু পূরণ করেছে। জেলার মধ্যে কাটোয়া থানাই প্রথম আইএসও সার্টিফাইড হয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর স্ট্যান্ডার্ডাজাইশন (আইএসও) একটি আন্তর্জাতিক মান নির্ধারণকারী সংস্থা। আইএসও তকমা মূলত যে কোনও প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা পেতে পারে। তবে তারজন্য বেশকিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, থানার বিভিন্ন পরিষেবার গুণগত মান বৃদ্ধি ও আধুনিকীকরণের জন্য থানাগুলিকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া থানার পরিকাঠামোগত উন্নতি হয়েছে। থানা সংস্কার করে ভোল বদলে ফেলা হয়েছে। ঢেলে সাজানো হয়েছে থানার বিল্ডিং থেকে পার্শ্ববর্তী বাগান। পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদাভাবে লকআপ তৈরি করা হয়েছে। নতুনভাবে সাজিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। থানার বোর্ড, ইনফরমেশন চার্ট, কমপ্লেন বক্স সহ বিভিন্ন ব্যবস্থাপনার আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। পানীয় জল, বিদ্যুৎ পরিষেবা, বারাক সবকিছুই আধুনিকীকরণ হয়েছে। থানা চত্বরের পরিবেশ নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। পুরো থানা এলাকাজুড়ে কয়েকশো সিসি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। সিসি ক্যামেরার দৌলতে বহু অপরাধের দ্রুত কিনারা করা সম্ভব হচ্ছে। অভিযোগ হলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এমনকী সাইবার অপরাধের ক্ষেত্রেও কাটোয়া থানা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে। এসবের জন্যই আইএসও তকমা পেয়েছে কাটোয়া থানা।
কাটোয়া থানার আইসি তীর্থেন্দু গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আইএসও তকমা পেতে গেলে আমরা যা তথ্য দিয়েছি, তা সব খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। তারপরেই ওই তকমা দেওয়া হয়েছে।