বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
উল্লেখ্য, করোনা আবহের পর এবারে ধর্মতলায় প্রকাশ্যে তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ হবে। আর তা নিয়ে ইতিমধ্যেই উন্মাদনা শুরু হয়েছে। ওইদিন জেলার কর্মী-সমর্থকদের কী কী কর্মসূচি থাকবে তা নিয়েই মূলত এই বৈঠক ডাকা হয়। তবে করোনা সংক্রমণকে মাথায় রেখে এদিন শুধুমাত্র সিউড়ি মহকুমার তৃণমূলের উচ্চ নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠক করা হয়। আজ, বুধবার রামপুরহাট ও আগামীকাল বৃহস্পতিবার বোলপুর মহকুমার নেতাদের নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা। ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতির পাশাপাশি আসন্ন পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনে দলীয় পরিকল্পনা নিয়েও এদিনের বৈঠকে কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশ্যে অনুব্রতবাবু বক্তব্য রাখেন।
বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে নিজের শারীরিক অসুস্থতার প্রসঙ্গে অনুব্রতবাবু বলেন, এখন একটু ভালো আছি। তবে হাঁটাচলা করলে, বেশি কথা বললে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। এরপরই তিনি বলেন, ২১ জুলাই দলের মহা সমাবেশে জেলার ১৬৭টি ও বর্ধমানের আউশগ্রাম, মঙ্গলকোট, কেতুগ্রামের ৫৮টি অঞ্চলের প্রতিটি জায়গা থেকে দু’টি করে বাস ছাড়া হবে। বীরভূম থেকে দু’লক্ষ কর্মী-সমর্থক ধর্মতলায় যাবেন। ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে আমিও যাব। পুরো অনুষ্ঠানে থাকতে না পারলেও মঞ্চে উঠব। মানুষের কাছ থেকে আশীর্বাদ নিয়ে যাব।
এরপর আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে, মানুষও ভোট দেবে। বীরভূম ও বর্ধমানের আউশগ্রাম, মঙ্গলকোট, কেতুগ্রামে যে কোনও দল নির্ভয়ে তাদের প্রার্থী দিতে পারবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও দাওয়াই বা টোটকা থাকবে না। আমি চাই, মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিক। এরপর বিজেপিকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, বাংলায় এই দলটার লোকজন নেই। মাঠে ময়দানে কাউকে দেখা যায় না। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই সংগঠন চালাচ্ছে বিজেপি। আমি কোনও চুরিও করিনি, ডাকাতিও করিনি। সিবিআই মিথ্যা কারণে আমাকে ডেকে পাঠাচ্ছে। ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোদি সরকার কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে চাপ দেবে। তার মধ্যেও আমাদের লড়াই করতে হবে। অমিত শাহের বিরুদ্ধে কথা বললেই আবার নোটিশ আসবে। এভাবে আমাদের আটকানো যাবে না। দুর্গাপুজোর পর বিভিন্ন অঞ্চলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে ও সভায় আমাকে আবার দেখা যাবে।