শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
বর্ষাকালে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর খবর সামনে আসে। এই সময় বিদ্যুতের খুঁটিতে হাত দিয়ে দেওয়ার ফলে অনেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। বিগত কয়েকদিনে রাজ্যের নানা জায়গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। বোলপুর শহরও বিপজ্জনক অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। এখানে যে বিদ্যুতের খুঁটিগুলি রয়েছে তাদের অধিকাংশরই বেহাল দশা। খুঁটির সঙ্গে যে বক্সগুলি রয়েছে সেগুলি খোলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কিছু বক্সের অবস্থা ভগ্নপ্রায়। বিদ্যুতের খুঁটিগুলি থেকে বিপজ্জনকভাবে খোলা তার বাইরে বেরিয়ে রয়েছে। রাস্তায় জল জমে থাকলে খোলা তারের জন্য গোটা খুঁটিই বিদ্যুৎবাহী হয়ে যায়। কোনওভাবে এর সংস্পর্শে এলেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বোলপুরের কাশীপুর বাইপাস অন্যতম ব্যস্ত এলাকা। যাতায়াতের জন্য দু’টি লেন রয়েছে। মাঝখানে যে বিদ্যুতের খুঁটিগুলি রয়েছে সেখানেই বিদ্যুৎবাহিত তার বিপজ্জনকভাবে বেরিয়ে রয়েছে। ওই রাস্তায় সন্ধ্যার পর থেকে অনেকেই ওই খুঁটি সংলগ্ন স্থানগুলিতে এসে বসেন। ফলে যে কোনও মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। একইভাবে শান্তিনিকেতন লাগোয়া শ্যামবাটি থেকে প্রান্তিক যাওয়ার রাস্তাও অত্যন্ত জনবহুল। প্রতিদিন বিকেলের পর প্রচুর ছেলেমেয়ে সেই রাস্তার পাশে সময় কাটায়। এখানেও অবস্থা একই। বেশকিছু বাতিস্তম্ভ থেকে বিপজ্জনক তার বাইরে ঝুলছে। পাশাপাশি সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ল্যাম্পপোস্টের গায়ে যে এলইডি লাইট রয়েছে সেগুলির অবস্থাও অত্যন্ত খারাপ। রাজ্যজুড়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর পরও টনক নড়েনি বোলপুর প্রশাসনের। ফলে বিপদ হাতে নিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসন্দিারা। বোলপুরের বাসিন্দা সুপ্রিয় সাধু, প্রতিভা গঙ্গোপাধ্যায়রা বলেন, বিশেষ করে বর্ষাকালে এই বিষয়টিতে পুরসভার অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নজর দেওয়া উচিত। তবে এর পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে। বোলপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষ বলেন, বিপজ্জনক অবস্থায় থাকা বিদ্যুতের খুঁটিগুলি সরিয়ে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি যেখানে বিদ্যুৎবাহী খোলা তার বাইরে বেরিয়ে রয়েছে, দ্রুত সেগুলি মেরামত করা হবে। রাস্তার ধারে ওঁত পেতে মৃত্যু। নিজস্ব চিত্র