শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের সমর্থনে কাঁকসায় লেখা হয়েছে ‘রক্তভাত খাচ্ছে মা, এই দৃশ্য আর না, খাদ্যসাথীর ভাত পাই, দিদিমণি তোমায় চাই।’ বিজেপির দেওয়াল লিখনে উঠে এসেছে সন্দেশখালির প্রসঙ্গ। লেখা হয়েছে, ‘কয়লা খেলি, গোরু খেলি, খেলি নদীর বালি, মা-বোনেদের বাদ দিলি না, বলছে সন্দেশখালি।’ তবে তৃণমূল ও বিজেপি দু’পক্ষকেই আক্রমণ করেছে সিপিএম। তারা লিখেছে, ‘অনেক সয়েছি আর সইব না তর্জন গর্জন, তৃণমূল বিজেপিকে এবার করো বর্জন।’ সিপিএমের এই দেওয়াল লিখনের পাশেই আবার দিলীপ ঘোষকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দেওয়াল লিখেছে বিজেপি।
আউশগ্রাম-২ ব্লকের দেবশালা, সাহেবডাঙা সহ বিভিন্ন এলাকায় দেওয়াল লিখনের সঙ্গে রাস্তার ধারে লোহার স্ট্যান্ড দিয়ে ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে। সেখানে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দলের নেতাদের ছবি দিয়ে দলের প্রার্থী অসিত মালকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। প্রতিটি ফ্লেক্সেই ছড়া লেখা হয়েছে তাতে সিপিএম ও বিজেপি দু’পক্ষকেই আক্রমণ করা হয়েছে। যেমন, ‘সিপিএমকে মুছে দিন, জোড়াফুলে ভোট দিন।’ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেকে চৌকিদার বলে দাবি করেছিলেন। সেই প্রসঙ্গ এসেছে ছড়ায়। লেখা হয়েছে ‘পাড়ায় পাড়ায় আওয়াজ তোলো, চৌকিদার বদলে ফেলো।’
মানকরের প্রবীণ বাসিন্দা আনন্দগোপাল গোস্বামী বলেন, ভোটের ছড়া বাংলা সংস্কৃতিরই একটি নিজস্ব অঙ্গ। তবে দেওয়াল লিখনে ছড়ার রীতি কিন্তু আগের থেকে অনেকটাই কমেছে। ১৯৬৯-র বিধানসভা ভোটের আগে শাপমোচন ছবির গানের আদলে কংগ্রেস লিখেছিল: ‘শোনো বন্ধু শোনো, ফ্রন্টের ঐ ন-মাসের ইতিকথা, চোদ্দজনের গোঁজামিলের, সে এক বীভৎসতা।’ পাল্টা, যুক্তফ্রন্ট অন্নদাশঙ্কর রায়ের লেখা থেকে লিখেছিল, ‘কিল মারেনি, ঢিল মেরেছে! তাতেই তোমরা রুষ্ট হলে? তোমরা যখন হুকুম দিয়ে, চালাও গুলি দুষ্ট বলে! তার বেলা?’
রাজনৈতিক নেতারাও মনে করছেন, ছড়ার মাধ্যমে দলের স্লোগান, বক্তব্য খুব সহজেই পৌঁছে দেওয়া যায়। কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের কবিতাপ্রীতি সহজাত। তাই ছড়া সকলেই পছন্দ করেন। ছড়ার মাধ্যমে প্রচার করলে তা মনে গেঁথে যায়। মানুষের মুখে মুখে ঘোরে। কংগ্রেস নেতা পূরব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মানুষ ছড়া পছন্দ করে। তবে এটা নতুন নয়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে অনেক সময় শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। দলের কথা না লিখে বিরোধী প্রার্থীর ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আক্রমণ করা হচ্ছে। যা কাম্য নয়।