বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
প্রসঙ্গত, ২০২১-’২২ সালে নদীয়া জেলায় বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনার তৃতীয় পর্যায়ের কাজ দীর্ঘদিন ধরে থমকে রয়েছে। এই পর্যায়ে জেলায় ১৯৮.১৮০কিমি রাস্তা তৈরির হওয়ার কথা। যার জন্য খরচ হবে ১৭৫.৮১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬০শতাংশ অর্থ দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। আর বাকি খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার। যদিও রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণের ১০০শতাংশ খরচ রাজ্য সরকারই দিয়ে থেকে। আর সেই রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণের কাজে সাফল্যের শীর্ষে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের ন্যাশনাল লেভেল মনিটরিং টিমের রিপোর্টে কেন্দ্রীয় সরকার সেই স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু, ২০২১-’২২ সালে কেন্দ্রীয় সরকার টাকা না পাঠানোয় জেলার ১৮টি ব্লকের প্রায় ২০০কিমি রাস্তার কাজ থমকে রয়েছে। যার মধ্যে এই পর্যায়ে রয়েছে চাকদাহ, চাপড়া, হাঁসখালি, নবদ্বীপ, নাকাশিপাড়া, তেহট্ট-২ ব্লকের একটি করে রাস্তা, হরিণঘাটা ব্লকের দু’টি, করিমপুর-২ ব্লকের তিনটি, কৃষ্ণনগর-১ ব্লকের পাঁচটি, কৃষ্ণনগর-২ ব্লকের তিনটি, রানাঘাট-২ ব্লকের সাতটি, শান্তিপুর ব্লকের দু’টি, তেহট্ট-১ ব্লকের দু’টি রাস্তা। সবমিলিয়ে মোট ৩০টি রাস্তার কাজ থমকে রয়েছে। কাজ শুরু হতে দেরি হওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারাও। একে কেন্দ্রের ‘বঞ্চনা’ বলেই দাবি করছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। কারণ, অন্য রাজ্যগুলিতে টাকা পাঠালেও বাংলাকে এই প্রকল্পের টাকা পাঠাতে কেন্দ্রীয় সরকার গড়িমসি করছে বলে দাবি আধিকারিকদের।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনার প্রথম পর্যায়ে নদীয়া জেলায় ৬৩৯কোটি টাকা খরচ করে ২৫২টি রাস্তা তৈরি হয়েছিল। প্রায় ১৬৯০কিমি রাস্তা তৈরি হয়েছিল। একইভাবে জেলায় দ্বিতীয় পর্যায়ে ৯৫.৭৫ কোটি টাকা খরচ করে ১৪টি রাস্তার কাজ হয়েছিল। ১৩২ কিমি রাস্তা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু, তৃতীয় পর্যায়ের ৩০টি রাস্তা তৈরির কাজ থমকে রয়েছে। বিগত একবছর ধরে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে টাকা চাওয়া হলেও সেই টাকা পাঠাচ্ছে না কেন্দ্র। প্রশাসন সূত্রে খবর, নদীয়া জেলায় অন্য ১৫টি রাস্তার ৯২ কিলোমিটার রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই ১২কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। যার টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। চলতি মাসেই সেই কাজ শুরু করা নিয়ে আশাবাদী জেলা প্রশাসন। এর ফলে প্রায় ৭৭ হাজার মানুষ উপকৃত হবেন।
উল্লেখ্য, ২০ বছর আগে এনডিএ সরকারের আমলে অটলবিহারি বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তখন ওই প্রকল্পে রাস্তা তৈরির জন্য ৯০ শতাংশ টাকাই বহন করত কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যকে দিতে হতো মাত্র ১০ শতাংশ টাকা। কিন্তু, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হয়ে এই প্রকল্পে অনুদানের পরিমাণ কমিয়ে ৬০শতাংশে নামিয়ে আনেন। যার ৪০ শতাংশ দিতে হয় রাজ্য সরকারকে। তাই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে প্রকল্পের নাম বদল করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন নাম দেওয়া হয় বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনা। নদীয়া জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দীপক বসু বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বরাবরই বাংলাকে বঞ্চনা করে এসেছে। এটা তার জলজ্যান্ত উদাহরণ। কেন্দ্র টাকা পাঠাচ্ছে না। এতে জেলার ৩০টা রাস্তা তৈরির কাজ দীর্ঘদিন ধরে আটকে রয়েছে। নিজস্ব চিত্র