বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বর্তমানে রঘুনাথপুর মহকুমার পর্যটনক্ষেত্র হিসেবে নিতুড়িয়ার পঞ্চকোট পাহাড়, সাঁতুড়ির বড়ন্তি(রামচন্দ্রপুর জলাধার), রঘুনাথপুরের জয়চণ্ডী, কাশীপুরের রঞ্জনডি জলাধার(পুরুলিয়ার সুন্দরবন নামে পরিচিত) পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণের।নিতুড়িয়ার পঞ্চকোট পাহাড় ঘুরতে এসে পর্যটকরা পঞ্চকোট রাজবংশের স্মৃতিবিজড়িত ধ্বংসস্তূপ, প্রাচীন মন্দির দেখতে পাওয়া যায়। সাঁতুড়ির বড়ন্তিতে রয়েছে জলাধার ও সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখার সুযোগ। রঘুনাথপুরে এসে দেখা যায়, ‘হীরক রাজার দেশ’ খ্যাত জয়চণ্ডী পাহাড়। দুর্গাপুজোয় পর্যটকদের কাছে কাশীপুরের মূল আকর্ষণ রাজবাড়ির দুর্গা পুজো। কারণ, সারা বছর রাজবাড়িতে কারও ঢোকার অধিকার থাকে না। শুধুমাত্র দুর্গাপুজোর সময় সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত প্রবেশাধিকার পাওয়া যায়। আর কাশীপুরের রাজবাড়ি দেখতে এলে পুরুলিয়ার সুন্দরবন রঞ্জনডি ‘যোগমায়া সরোবর’ তো ঘুরতেই হয়।বর্তমানে পর্যটকদের কথা ভেবে নিতুড়িয়া, সাঁতুড়ি ও কাশীপুরের রঞ্জনডিতে সরকারি গেস্টহাউস করা হয়েছে। জয়চণ্ডীতে পথের সাথী ও যুব আবাস করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি জায়গায় রয়েছে বেসরকারি গেস্ট হাউস। কিন্তু, ভিড় এতটাই বেশি যে কোনও রুম ফাঁকা নেই।রানিগঞ্জের বাসিন্দা অশোক খাঁ, কলকাতার অমলেন্দু বিশ্বাস, মিনতি বিশ্বাস বলেন, পুজোর ছুটিতে কয়েকদিন বেড়াতে এসেছি। খুব সুন্দর লাগছে জায়গাটা। দু’মাস আগে থেকে অনলাইন বুকিং করেছিলাম। তাই থাকার জন্য ঘর পেয়েছি। অনেকে রুম না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।সাঁতুড়ির সরকারি গেস্ট হাউসের লিজপ্রাপ্ত সংস্থার তরফে বিকাশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, প্রতি বছরই পুজোর কয়েকটা দিন একটু ভিড় থাকে। লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত গেস্ট হাউসগুলিতে রুম পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। তবে পর্যটকদের সকলকে রুম দেওয়ার আমরা চেষ্টা করি। রঘুনাথপুর যুব আবাসের দায়িত্বে থাকা রঘুনাথপুর-১ ব্লকের যুব আধিকারিক প্রাণকৃষ্ণ মাহাত বলেন, দুর্গাপুজো থেকে পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়। মার্চ পর্যন্ত থাকে পর্যটকদের ভিড়। পুজোর সময় শহরের মানুষ ভিড় ঠেলে সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখতে পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে ভিড় জমান।স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বর্তমান সরকার পুরুলিয়ার মতো প্রত্যন্ত জেলায় পর্যটনকে নিয়ে যেভাবে ভাবনাচিন্তা করছে তা প্রশংসনীয়। জেলার মানুষের আর্থিক উন্নয়নের পাশাপাশি অনেক মানুষ, বেকার যুবক কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন।