বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বৃহস্পতিবার সুজাতা মণ্ডল বলেন, দলিত পরিবার থেকে উঠে এসেছি বলেই আমার বিরুদ্ধে এভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে। আমার বক্তব্যকে বিকৃত করে দেখানো হচ্ছে। বেশ কিছু মিডিয়া ও চ্যানেল কৌশলে আমার বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছে। বিজেপির একটা বিশেষ গোষ্ঠী খুব কৌশলে রাজনৈতিকভাবে আমাকে শেষ করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, আমার কাছে সূত্র মারফত খবর আছে বিজেপি আরামবাগ মহকুমার বেশকিছু সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের তাদের হয়ে প্রচারের জন্য দামি মোবাইল ও অর্থ দেওয়ার প্রস্তাব দেয় নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর। তবে মানুষের প্রতি আমার আস্থা আছে। তবে শত অপপ্রচার প্ররোচনাতেও রাজনীতির ময়দান থেকে, মানুষের পাশ থেকে আমি সরব না।
৬ এপ্রিল আরামবাগ মহকুমার বিধানসভার ভোটে আরান্ডিতে বিজেপির লোকেরা ভোট দিতে দিচ্ছিল না। সেইজন্য আমি সেখানে ছুটে গিয়েছিলাম। আরান্ডির মহল্লা পাড়ার লোকদের নিয়ে ভোট দিতে গিয়েছিলাম। সেখানে কৌশলে প্রচার করা হল আমি দাদাগিরি করতে গিয়েছিলাম। ভাতের হাঁড়ি উল্টে দিয়েছি। একজনের হাত মচকে দিয়েছি। কিন্তু সেইসময় পুলিস ও সংবাদ মাধ্যমের লোকেরা ছিলেন। সবাই দেখেছে কী হয়েছে। ওখানে বিজেপির দুষ্কৃতীরা বাঁশপেটা করেছে আমায়। কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মাথায় স্ক্যান করতে হয়েছে আমাকে। এরপরও আমার নামে কুৎসা রটনা চলছে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে আরামবাগে স্ট্রং রুমে যাচ্ছি। প্রচার চালানো হলো ইভিএম লুট করতে যাচ্ছি। বিজেপির লোকেরা তেড়ে এসে হামলা করল। যদিও পুলিস দুষ্কৃতীদের ধরেছে, কিন্তু বলা হচ্ছে আমি উত্তেজনা ছড়াচ্ছি। আমি নিজে তপশিলি সম্প্রদায়ের মানুষ। তপশিলি সম্প্রদায়ের বঞ্চনার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে বলছি। বিজেপি বাংলায় ধর্মের জিগির তুলছে। ব্রাহ্মণ্যবাদকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। যেখানে আমাদের মতো সম্প্রদায়ের লোকেরা বেশি ক্ষতিগ্ৰস্ত হবেন। তারপরেও তপশিলিদের নিয়ে আমার বক্তব্যকে সুকৌশলে ব্যবহার করা হচ্ছে। মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে। এই অপপ্রচার থামাতে আমি মানুষের কাছে যাব। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের কাছে ইতিমধ্যেই সত্যি ঘটনা তুলে ধরেছি। এই বিষয়ে আরামবাগ মহকুমার তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, সুজাতা মণ্ডলের বক্তব্য নিয়ে গত বুধবারও আরামবাগের বলরামপুরে সন্ধেবেলায় পথ অবরোধ করে বিজেপি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই রাজনৈতিক অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
আরামবাগ পুরসভার প্রশাসনিক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী বলেন এটা বিজেপির একটা কালচার। যেহেতু সুজাতা মণ্ডল এখানে ওদের হাওয়া কেড়ে নিয়েছেন। সেই কারণেই সুজাতা মণ্ডলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অপপ্রচার চলছে। যদিও বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, উনি এখানে এসে উত্তেজনা ছড়াচ্ছেন। আপত্তিকর বক্তব্য রাখছেন। আঙুল তুলে হুমকি দিচ্ছেন। পুরশুড়া বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী বিমান ঘোষ বলেন, ওঁর বিরুদ্ধে কোনওরকম অপপ্রচার আমাদের করতে হচ্ছে না। উনি যা বলছেন মানুষ তা দেখছে। এখন নিজের ভুল ঢাকার জন্য পাল্টা প্রচারের কৌশল নিচ্ছেন। আরামবাগ থানার আইসি পার্থসারথী হালদার বলেন, প্রচার মাধ্যমের একটা অংশ নিজেদের স্বার্থে অপপ্রচার চালাচ্ছে। খবরের নামে মিথ্যা প্রচারে মানুষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। এলাকা অশান্ত হয়ে উঠেছে। আমরা এর আগেও আইনি ব্যবস্থা নিয়েছি। এখনও এসবের ওপর নজর রাখছি।