বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় বাঁকুড়া জেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এখনও বড় রাজনৈতিক দলগুলির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা না হলেও প্রত্যেকেই দেওয়াল দখলের কাজ শুরু করেছে। প্রার্থীর নাম ফাঁকা রেখে একাধিক জায়গায় দেওয়াল লিখনের কাজও চলছে। সেই দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করেই বড়জোড়ায় দুই রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। তাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, দেওয়াল দখল নিয়েই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে আগামী দিনগুলিতে কী হবে? শান্তিপূর্ণভাবে ভোট করানোর জন্য প্রশাসনকে কড়া হতে হবে। তবেই তাঁরা সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারবেন।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। পরে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেখান থেকে জখমদের উদ্ধার করে প্রথমে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আনা হয়। সেখান থেকে তাঁদের বাঁকুড়ায় স্থানান্তরিত করা হয়। পরে একজনকে কলকাতায় রেফার করা হয়। এদিন বড়জোড়া বিজেপির তরফে রাস্তা অবরোধের পাশাপাশি মিছিল করা হয়। পরে জখম কর্মীদের বাড়িতে যায় বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন সেখানে যান বিষ্ণুপুরের সংসদ সদস্য তথা বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ সহ অন্যান্যরা।
বিজেপির দাবি, আগামী ৭ মার্চ ব্রিগেডে জনসভা হবে। ওই গ্রামে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভায় যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে দেওয়াল লিখন করা হয়েছিল। কিন্তু, তার উপর পোস্টার সাঁটিয়ে দেয় তৃণমূলের কর্মীরা। প্রতিবাদ করায় তাদের কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের দাবি, বিজেপির লোকেরা তাদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে দেয়। তাই তার প্রতিবাদ করায় হামলা চালানো হয়।
বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজিত অগস্তি বলেন, বড়জোড়ার তাজপুরে একটি দেওয়াল আমরা আগে থেকেই দখল করেছিলাম। সেই দেওয়ালের উপর তৃণমূল তাদের প্রচারের পোস্টার সাঁটিয়ে দেয়। প্রতিবাদ করলে আমাদের কর্মীদের বেধড়ক মারধর করা হয়। ঘটনায় আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মী জখম হয়েছেন। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারির দাবিতে আমরা পথ অবরোধ করেছি। উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।
তৃণমূলের বড়জোড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, ওই দেওয়াল আমাদের কর্মীরাই দখল করেছিল। তার উপর ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ পোস্টার টাঙানো হয়েছিল। কিন্তু, বিজেপির কর্মীরা তা ছিঁড়ে দেয়। তার প্রতিবাদ করলে আমাদের কর্মীদের মারধর করা হয়। পরে আমাদের কর্মীরাও তার পাল্টা দেয়। আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মী জখম হয়েছেন। তাঁরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করান।