বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
২০১৬নির্বাচনে জোট করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করে বাম ও কংগ্রেস। জেলার ১১টি বিধানসভার মধ্যে ময়ূরেশ্বর, সাঁইথিয়া, লাভপুর, নানুর ও সিউড়ি আসনে লড়াই করে সিপিএম। বোলপুর কেন্দ্রে শরিক আরএসপি। তবে জোট ভেস্তে যায় রামপুরহাট কেন্দ্রে। কংগ্রেস ও ফরওয়ার্ড ব্লক পৃথক প্রার্থী দাঁড় করায়। হাসন ও মুরারইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কংগ্রেস। সেবার হাসন কেন্দ্রে কংগ্রেস ও নানুরে সিপিএম ছাড়া কোনও আসনে জোট প্রার্থীরা জয়লাভ করতে পারেননি।
এবারও অতীতের সব দ্বন্দ্ব ভুলে তৃণমূলকে উৎখাত করতে জোট করে লড়াই করার ডাক দেয় বাম ও কংগ্রেস। তবে নতুন করে জোট সঙ্গী হয়েছে আব্বাস সিদ্দিকির দল আইএসএফ। যা চিন্তা বাড়িয়েছে জোট নেতৃত্বের। জানা গিয়েছে, সিপিএম এবারও পুরনো পাঁচ আসন ছাড়াও রামপুরহাট কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইছে। কিন্তু এই কেন্দ্র্রের দাবিদার ফরওয়ার্ড ব্লক। একথা পরিষ্কার জানিয়েছে দিয়েছেন দলের জেলা সম্পাদক দীপক চট্টোপাধ্যায়। ফলে অনেকেই ভাবছেন গতবারের মতো এবারও এই কেন্দ্রে বামেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিতে পারে। আরএসপি অবশ্য বোলপুর আসন পেয়েই সন্তুষ্ট। কংগ্রেসও তাঁদের পুরনো তিনটি আসনেই লড়বে। তাহলে আইএসএফ কোন্ আসনে লড়বে? এমন প্রশ্নই ঘুরছে বীরভূমের রাজনৈতিক মহলে। সূত্রের খবর, জেলার মধ্যে এক মাত্র মুরারই আসনে লড়তে চায় আইএসএফ। কিন্তু কংগ্রেস আসনটি ছাড়তে নারাজ। আর এতেই জোটে জট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই তৃণমূল-বিজেপি ময়দানে নামলেও জোট কর্মীরা হতাশ। তাঁরা কার্যত ফাইনাল পরীক্ষার আগে প্রস্তুতির বদলে চুপ করে বসে রয়েছেন।
কংগ্রেসের রামপুরহাট শহর সভাপতি সাহাজাদা হোসেন কিনু বলেন, কী করে ময়দানে নামব? বছরভর আমরা লড়াই-সংগ্রামে থাকব। আর ভোট আসলেই জোটের জট লেগে যাবে, এটা আর ভালো লাগছে না। এখনও ঘোষণাই হল না রামপুরহাট কেন্দ্রে কোন্ দল লড়াই করবে? বা প্রার্থী কে হবেন? ফলে প্রার্থীর নাম ছাড়াও যদি দেওয়াল লিখন করি, তাহলে কোন দলের প্রতীক আঁকব? জেলার সর্বত্র জোট কর্মীদের একই অবস্থা।
ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক বলেন, আমরা তিনটি আসনেই লড়তে চাই। এখনও আলোচনা চলছে। আপাতত আমরা দলের পক্ষ থেকে দেওয়াল দখল করে রাখছি। প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর পুরদমে প্রচারে নেমে পড়ব। কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মিল্টন রশিদ অবশ্য বলেন, জোটে কোনও জট নেই। সব ঠিক হয়ে গিয়েছে। দিন কয়েকের মধ্যেই কে কোন্ আসনে লড়াই করবে তা ঘোষণা হয়ে যাবে। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রামচন্দ্র ডোমও একই কথা বলেন।