বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এদিন সভায় মহিলাদের ভিড় দেখে আপ্লুত অনুব্রতবাবু বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে বিনা পয়সায় রেশন মিলবে না। স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী, সবুজসাথী, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী সহ কোনও প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না। বাংলার সর্বনাশ হয়ে যাবে। এরপরই তিনি হিন্দিতে বলেন, আচ্ছে দিনের কথা বলেছিল মোদি। এখন দেখুন পেট্রল ১০০টাকা, ডিজেল ৯৭টাকা, গ্যাস ৮৬০টাকা। বহুত আচ্ছে দিন অ্যায়া। তোমার লজ্জা লাগে না ভণ্ড সাধু। তুমি তো সাধারণ মানুষকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে শেষ করে দিলে। ভাঁওতাবাজ প্রধানমন্ত্রী। অনুব্রতবাবু বলেন, ৩৪বছর মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ক্ষমতায় থেকেছে বামেরা। আর এই ক’বছরে একের পর এক উন্নয়ন করে সোনার বাংলা তৈরি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদি তুমি সেই বাংলা বেচতে আসছ। কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লিতে চাষিদের আন্দোলন প্রসঙ্গে বলেন, পাঁচ মাস ধরে চাষিরা আন্দোলন করছেন। আর তুমি ঠাণ্ডা ঘরে বসে মজা দেখছ। মানুষ তোমাকে জবাব দিতে প্রস্তুত হচ্ছে।
সভা শেষে বাম-কংগ্রেস ও আব্বাস সিদ্দিকির জোট প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাংলার মুসলিমরা অত বোকা নন, সবাই জানেন আব্বাসকে ফিটিং করেছে। আব্বাসকে ভোট দেওয়া মানে ক্ষতি করা। কারণ, বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস এক। এদিন রাজ্যে প্রচারে এসে যোগী আদিত্যনাথ বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় আসলে গো হত্যা বন্ধ করার নিদান দেন। এসম্পর্কে অনুব্রতবাবু বলেন, ও কোন্ হরিদাস পাল?
অতীতেও মহিলা সমাবেশ করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু এবছর সমাবেশের বহর অনেক বেশি। প্রত্যন্ত গ্রাম কিংবা শহর যেখানেই অনুব্রত মণ্ডল সভা করেছেন, সেখানেই মহিলাদের ভিড় উপচে পড়ছে। এদিনও সেই চিত্র দেখা গেল। সভার অনেক আগে থেকে মহিলারা দলে দলে ‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’ স্লোগান তুলে ভিড় জমান। কথা হচ্ছিল ঊর্মিলা মণ্ডলের সঙ্গে। তিনি বলেন, বড় মেয়ে একাদশ, আর ছোট মেয়ে ক্লাস নাইন পড়ে। স্বামী দিনমজুর। আগে প্রায় এক কিলোমিটার পায়ে হেঁটে স্কুলে যেত। এখন ঘরে দু’-দু’টো সবুজসাথীর সাইকেল। মেয়েদের এখন আর হেঁটে স্কুলে যেতে হয় না। এমনকী, আমি এবং আমার স্বামীও ওদের সাইকেল সংসারের কাজে ব্যবহার করি। কন্যাশ্রীর টাকা পাচ্ছে। খুবই উপকার হয়েছে।
মাড়গ্রামের বাসিন্দা নূরজাহান বেগম বলেন, মাস খানেক আগে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে বিনা পয়সায় স্বামীর পেসমেকার বসানো হয়েছে। নইলে কী যে হতো। রূপশ্রী প্রকল্পের বড় মেয়ের বিয়ের জন্য ২৫হাজার টাকা পেয়েছি। সবই দিদির অবদান। নইলে আমাদের মতো গরিব মানুষগুলি মারা পড়ত। এখন আর বর্ষায় ব্রাহ্মণী ও ভাঙলা কাঁদরের চোখ রাঙানিতে ভয় পাই না। মুখ্যমন্ত্রী কয়েক কোটি টাকায় বিশাল ব্রিজ তৈরি করে দিয়েছেন। লকডাউনে দিদি পাশে দাঁড়িয়েছেন বলে না খেতে পেয়ে মরিনি।
তৃণমূল নেতৃত্ব বলছেন, দলের সভা যেখানেই হচ্ছে সেখানেই মহিলারা বেশি সংখ্যায় উপস্থিত হচ্ছেন। আসলে এটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা থেকে তাঁরা আসছেন।