বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পুলিস সুপার বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, সীমান্ত লাগোয়া থানাগুলিকে আগে থেকেই সতর্ক করা হয়েছে। মোট ১৯টি পয়েন্ট চিহ্নিত করে নাকা চেকিং চলছে। এছাড়া বিভিন্ন হোটেল, রেস্তরাঁ, গেস্ট হাউসে পুলিসি তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ, শপিং মল, বাসস্ট্যান্ড প্রভৃতি জনবহুল এলাকায় চেকিং চলছে। সব মিলিয়ে সবরকম নাশকতা আটকাতে তৎপর রয়েছে নদীয়া জেলা পুলিস।
জেলার একটিও রেল স্টেশনে যাত্রীদের প্রবেশপথে মেটাল ডিটেক্টর গেট নেই। তাই সাধারণতন্ত্র দিবসে গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশনগুলিকে যে আততায়ীরা টার্গেট করবে না সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না গোয়েন্দারা। যদিও পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কমল দেওদাস বলেন, সাধারণতন্ত্র দিবস বলে নয়, সবসময় রেলের তরফে স্টেশনগুলিতে নজরদারি চালানো হয়। জেলার কল্যাণী, রানাঘাট, শান্তিপুর, কৃষ্ণনগর রেল স্টেশনগুলিতে একাধিক প্রবেশ ও বেরনোর পথে রয়েছে। তাই এই ধরনের স্টেশনগুলিতে মেটাল ডিটেক্টর গেট লাগানো হয়নি। তবে রেল পুলিসের সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিস স্টেশনগুলিতে নজরদারি চালাচ্ছে।
জেলা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া জেলার মোট আটটি থানা রয়েছে। জেলার পূর্বদিকে মোট ১৬৬.৯কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। তারমধ্যে ১৪৩.৪কিলোমিটার কাঁটাতারের বেড়া থাকলেও বাকি ২০.৫কিলোমিটার ওই বেড়া নেই। এরমধ্যে পাঁচ কিলোমিটার রয়েছে নদীপথ। তাই স্বাভাবিক কারণেই দুষ্কৃতীরা এদেশে অপরাধ করে বাংলাদেশে গিয়ে গা-ঢাকা দেয়। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকেও দুষ্কৃতীরা সহজে এদেশে এসে আশ্রয় নেয়।
জেলা পুলিসের কর্তাদের দাবি, সীমান্তে কাঁটাতার না থাকায় হামেশাই অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটে। ওপার বাংলা থেকে অনুপ্রবেশকারীরা নদীয়া জেলায় ঢুকে পড়ে। এমনকী জঙ্গি বা সমাজবিরোধীদের অনুপ্রবেশের ঘটনাও এর আগে ঘটেছে। পাশাপাশি কুখ্যাত সমাজবিরোধীরা এই জেলায় এসে সহজেই অপরাধমূলক কাজ করে বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। এছাড়া কাঁটাতার না থাকায় সহজেই অবৈধ কাশির সিরাপ, বিদেশি পাখি, সোনার বিস্কুট সহ নানা সামগ্রী পাচারের ঘটনা হামেশাই ঘটছে। বিএসএফ অভিযান চালিয়ে প্রায়ই সেই পাচারকারীদের আটক করে। সীমান্ত লাগোয়া বাসিন্দাদের অভিযোগ, কাঁটাতার না থাকায় ওই এলাকা পাচারকারীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। যদিও বিএসএফের তরফে দাবি করা হয়েছে, ওই এলাকাগুলিতে রাতে হাইমাস্ট লাইট জ্বলে। জওয়ানরাও পাহারায় থাকেন। এদেশের সীমানায় কেউ ঢুকে পড়লে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের রাজ্য পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এদিকে রানাঘাট স্টেশনে রেলের তরফে নজরদারি বাড়ানোর জোরালো দাবি তুলেছেন যাত্রীদের একাংশ। তাঁরা বলেন, পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশনে শিয়ালদহ স্টেশনের পরেই রানাঘাট অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। এই স্টেশন দিয়ে সরাসরি গেদে বাংলাদেশ বর্ডার এলাকায় রেলপথ সংযুক্ত। অথচ এখানে রেল পুলিসের নজরদারি বা চেকিং চোখে পড়ে না। রানাঘাটের এক রেল যাত্রী বলেন, বছর পাঁচেক আগে রানাঘাটের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে মেটাল ডিটেক্টর গেট বসানো হয়েছিল। কিন্তু কয়েক মাস যেতে না যেতেই তা উধাও হয়ে যায়।