সংবাদদাতা, বর্ধমান: করোনার কারণে ফের কাজে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশন। শনিবার থেকে আইনজীবীরা সওয়ালে অংশ নেবেন না। ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করবেন তাঁরা। ১২ ও ১৩ তারিখ শনি ও রবিবার হওয়ায় ছুটি থাকবে। কবে থেকে আইনজীবীরা কাজে যোগ দেবেন সে বিষয়ে কিছু জানাননি বারের পদাধিকারীরা। শুক্রবার বারের সাধারণ সভায় কাজে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে বারের এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন জুনিয়র আইনজীবীদের একটা বড় অংশ। এমনকী সোমবার থেকে বারের সিদ্ধান্ত অমান্য করে কাজে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন লকডাউনের কারণে আদালতের কাজকর্ম বন্ধ ছিল। ফলে, আইনজীবীদের পাশাপাশি ল’ক্লার্করা চরম সমস্যায় পড়েন। কার্যত রোজগার বন্ধ হয়ে যায় তাঁদের। ফের কর্মবিরতি হলে সমস্যা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন তাঁরা। আইনজীবী ও ল’ক্লার্কদের পাশাপাশি বিচারপ্রার্থীরাও বারের এই সিদ্ধান্তে সমস্যায় পড়বেন বলে মত তাঁদের। সরকারি ও বেসরকারি অফিস খোলা রয়েছে। ট্রেন, বাস চলাচল করছে। সেখানে শুধুমাত্র আদালতের কাজ বন্ধ রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে ভিন্নমত পোষণ করা আইনজীবীদের মধ্যে। আইনজীবী কমল দত্ত বলেন, সব জায়গায় স্বাভাবিক কাজকর্ম হচ্ছে। হাইকোর্টও কাজ শুরুর পক্ষে মত দিয়েছে। তবে, কেউ আইনি পদক্ষেপ না নিলে সিদ্ধান্ত বিরুদ্ধে যাবে না বলে হাইকোর্ট সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে। সেকারণে যেসব আইনজীবী আদালতে আসতে ইচ্ছুক নন, তাঁরা না আসতে পারেন। কিন্তু, যাঁরা কাজ করতে ইচ্ছুক, তাঁদের এভাবে বাধা দেওয়া যায় না। শুধু তাই নয়, দু-একজনের সিদ্ধান্তকে বারের সিদ্ধান্ত বলে চালানো হচ্ছে। বারের অধিকাংশ আইনজীবী সাধারণ সভায় কর্মবিরতি পালনের বিপক্ষে মত দিয়েছেন। তারপরও জোর করে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও তা মানতে নারাজ বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সদন তা। তিনি বলেন, চারজন আইনজীবী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা সংক্রমণ ফের ছড়াচ্ছে। তাই, আইনজীবী ও বিচার প্রার্থীদের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।