বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগস্থি বলেন, সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে এবছরও কল্পতরু মেলা আয়োজিত হবে। ডিপিএলের জমিতে মেলা করার অনুমতির জন্য এমডিকে অনুরোধ করেছি।
কল্পতরু মেলা শিল্পাঞ্চলের অন্যতম বড়। শয়ে শয়ে সামগ্রীর স্টল থেকে শুরু করে কৃষিমেলা কৃষি প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বইমেলা, বিনোদনের সব মশলাই হাজির থাকে মেলা ঘিরে। শুধু দুর্গাপুর শহর নয়, বাঁকুড়া জেলার একাংশ, অণ্ডাল, কাঁকসা সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে এই মেলা দেখতে মানুষ ভিড় জমান। ১ জানুয়ারি ঠাকুরের কল্পতরু হওয়ার দিন থেকেই মেলার সূচনা হয়। মেলা চলে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। তবে ভাঙা মেলাও থাকে বেশ কয়েকদিন। করোনার পরিস্থিতিতে মেলা কী হবে, তা নিয়ে জল্পনা ছিলই। মেলা নিয়ে দুটি মত সামনে আসছিল। একপক্ষের দাবি ছিল, মেলা করে করোনা বাড়ানোর কোনও মানে হয় না। অন্যপক্ষের দাবি ছিল, মেলা গ্রামীণ অর্থনীতির বুনিয়াদ। তাই মেলা আয়োজন হলে বহু মানুষের আর্থিক অবস্থা কিছুটা হলেও ভালো হবে। এই জল্পনা আরও বাড়ে যখন জানা যায়, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন এবার করোনার পরিস্থিতি কথা মাথায় রেখে ঘটা করে কল্পতরু উৎসব করছে না। অনেকেরই ধারণা ছিল তাহলে কল্পতরু মেলাও এবার হবে না। তবে সব জল্পনায় জল ঢেলেছেন দুর্গাপুরের মেয়র। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, মেলা হবে। এলাকার অর্থনীতিতে এই মেলার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। যারা গতবছর মেলা করেছিল, তাদের মেলা করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সাধুডাঙার মাঠে কল্পতরু উৎসব সময়ে কয়েকটি দোকান বসাকে কেন্দ্র করে মেলা বসা শুরু হয়। পরে তা বিশাল আকার নিতে থাকে। তারপরই মেলা স্থানান্তরিত হয় গ্যামন ব্রিজের মাঠে। বাম আমল থেকেই একটি সংস্কৃতিক কমিটি এই মেলা পরিচালনা করতে থাকে। তবে তারসঙ্গে ওই সময় দুর্গাপুর-১ সাধুডাঙা শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম পরিচালনার দায়িত্বে ছিল না। এবার আরও স্পষ্ট হয়ে গেল সেই বিষয়টি।
আশ্রমের সহ সম্পাদক অরবিন্দ চট্টোপাধ্যায় বলেন, দুই বর্ধমানের মধ্যে সবচেয়ে বড় কল্পতরু উৎসব এখানেই হয়। এবার কিন্তু ভার্চুয়াল মাধ্যমেই ভক্তদের সেই উৎসব দেখতে হবে। বেলুড় মঠের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা এই ব্যবস্থা করেছি।