বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
করোনা আবহে লকডাউনের পর নিউ নর্ম্যালে খুলেছে মিনি জু। এখনও আগের মতো স্বাভাবিক না হলেও দর্শকদের আনাগোনা বাড়তে শুরু করেছে। শীতও ক্রমশ জাঁকিয়ে পড়ছে। ওই জুতে আগে থেকে একটি কুমির রয়েছে। তার সঙ্গে এবার নতুন অতিথিরা যুক্ত হয়ে কুমিরের সংখ্যা বেড়ে হচ্ছে ছয়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে এই কুমিরগুলি আনা হচ্ছে। তারজন্য সব আয়োজন সম্পূর্ণ। ওই কুমিরগুলিকে আগের কুমিরের থেকে আলাদা করে রাখা হবে।
এ ব্যাপারে বন বিভাগের বর্ধমান ডিভিশনের ডিএফও দেবাশিস শর্মা বলেন, ডিসেম্বরেই পাঁচটি মার্শ প্রজাতির কুমির আসছে। সবকিছুই প্রায় চূড়ান্ত। এবার শীতে এটি আমাদের জু-এর মূল আকর্ষণ হতে চলেছে। গত এক বছর ধরে এর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। পূর্ব বর্ধমান জেলায় একমাত্র মিনি জু এই রামনাবাগান। ১৪ হেক্টর জায়গাজুড়ে বাবুরবাগ মৌজায় এই মিনি চিড়িয়াখানা রয়েছে। এখানকার অভয়ারণ্য সকলেরই নজর কাড়ে। অনেক ধরনের গাছ যার সৌন্দর্য বাড়িয়েছে। শহরের গোলাপবাগ এলাকায় অবস্থিত এই জুতে জেলার মানুষের কাছে বন্যপ্রাণী দেখার সুযোগ মেলে। কচিকাঁচা থেকে ছাত্রছাত্রী সকলেরই শীতের মরশুমে এখানে আসার জন্য মন টানে। এছাড়া পাশেই রয়েছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সেখানকার পড়ুয়াদের অনেকের কাছেই জু বাড়তি ক্যাম্পাসের মতো। এখন এখানে দু’টি চিতাবাঘ রয়েছে। মিনি জুতে চিতাবাঘ রয়েছে এরকম সংখ্যা খুব বেশি নেই। এছাড়া এখানে থাকা ভালুক দেখতেও ছোটরা ভিড় জমায়। ডিয়ার পার্ক এই জুয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। এখানে নানা রঙের পাখি আছে। প্রতিবছর অনেক পর্যটক রাজ পরিবারের ঐতিহ্যবাহী বর্ধমান শহরে আসেন। দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম প্রবেশদ্বার এই বর্ধমান শহর। যোগাযোগের দিক দিয়ে রাঢ়বঙ্গের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা এটি। এখানে আসা পর্যটকদের কাছে স্থানীয় গাছগাছালির প্রাকৃতিক পরিবেশের ছোঁয়া থাকা এই মিনি জু অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। বর্ধমান রাজবাড়ি, সর্বমঙ্গলা মন্দির সহ জেলার অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রের সঙ্গে ওই জুতে আসার সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না কোনও পর্যটক।
এবছর করোনা পরিস্থিতিতে এখনও সেভাবে পর্যটকের দেখা মেলেনি। তাই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের আশা, নতুন প্রজাতির ওই কুমিরগুলি নিয়ে আসার পর নিশ্চিতভাবে এখানে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে। একইসঙ্গে ওই কুমিরগুলি মিনি চিড়িয়াখানার গরিমা আরও বাড়াবে।