সংবাদদাতা, বর্ধমান: গ্রামীণ এলাকার জল প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ফের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের(পিএইচই) হাতে ফিরে যাচ্ছে। রাজ্যে গ্রামীণ এলাকায় ৫৮৭টি নলবাহিত জলপ্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পঞ্চায়েতের হাতে রয়েছে। রাজ্য সরকার বাড়ি-বাড়ি পানীয় জল পৌঁছনোর জন্য জলস্বপ্ন প্রকল্প চালু করেছে। গ্রামীণ এলাকার মানুষ নিখরচায় জল পাচ্ছেন। প্রকল্পটি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের অধীনে রয়েছে। দুই প্রকল্পের দায়িত্ব পৃথক দপ্তরের হাতে থাকলে সমস্যা হতে পারে। রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে দুই দপ্তরের মধ্যে দড়ি টানাটানি হতে পারে। এই ধরনের বিতর্ক যাতে না হয়, সেজন্য দু’টি জল প্রকল্পেরই দেখভালের দায়িত্ব জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পঞ্চায়েত দপ্তর। কিছুদিন আগে দুই দপ্তরের সচিবের সই করা নির্দেশিকা জেলায় পাঠানো হয়েছে। জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ বাগবুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জানুয়ারি মাস থেকে প্রকল্পগুলি দেখভালের দায়িত্ব জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হবে। জল সরবরাহের বিষয়টি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের মাধ্যমে হলেও পঞ্চায়েত তা দেখাশোনা করত। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কোথাও জলের সমস্যা হলে তা মেরামত করার জন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার ও মেকানিকদের সাহায্য নিতে হতো। এতে সময় নষ্ট হতো। সেজন্য সরাসরি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরকে দেখভালের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
২০১৬ সালে গ্রামীণ এলাকায় নলবাহিত জল প্রকল্পগুলি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পঞ্চায়েতের হাতে তুলে দেয় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর। বিভিন্ন জায়গায় কর্মীরা পারিশ্রমিক না পেয়ে বিক্ষোভ দেখান। অনেক জায়গায় রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকমতো হচ্ছে না বলে অভিযোগ ওঠে। জেলা প্রশাসন এনিয়ে পঞ্চায়েতের সঙ্গে বৈঠক করে। তাতে জল প্রকল্পের কাজ করার জন্য ইঞ্জিনিয়ার ও মেকানিক না থাকার বিষয়টি উঠে আসে।
পঞ্চায়েতগুলিকে মেরামতির জন্য যে ঠিকাদারদের উপর ভরসা করতে হয় তা জানা যায়। এরই মধ্যে জলস্বপ্ন প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। সেটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের হাতে। সরকারি নির্দেশিকা জানানো হয়েছে রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি সংস্কার ও পানীয় জল সংযোগের বিষয়টি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর দেখবে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সোমনাথ কুণ্ডু বলেন, আগের মতো প্রকল্পগুলির দেখভাল করবে আমাদের দপ্তর। এতে কাজ করতে সুবিধা হবে।