বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
জানা যায়, রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উন্নতমানের কোটি টাকার ইউএসজি মেশিন দেওয়া হয়। উন্নতমানের মেশিনে পরিষেবা চালু হওয়ায় গর্ভবতী মহিলা থেকে সাধারণ পেটের সমস্যায় ভোগা মানুষের রোগ নির্ণয়ের সমস্যার সমাধান হয়। কিন্তু বর্তমানে সেই মেশিন খারাপ হয়ে পড়ায় সাধারণ মানুষকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অনেকে জরুরি পরিষেবার জন্য বাধ্য হয়ে মোটা টাকা খরচ করে বাইরে থেকে পরীক্ষা করছেন।
সম্প্রতি রঘুনাথপুরে এক জনসভায় বিজেপির সংসদ সদস্য সুভাষ সরকার জেলার স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ন্যাশনাল হেল্থ মিশন যে পরিমাণ টাকা স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য পাঠাচ্ছে, রাজ্য সরকার তার কিছুই কাজ করছে না।
রঘুনাথপুর ১ নম্বর ব্লকের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বলেন, মেশিন খারাপ থাকায় বাইরে থেকে বাধ্য হয়ে টাকা খরচ করে টেস্ট করতে হবে। রিপোর্ট করতে কোথাও ১৫০০, আবার কোথাও ২০০০ টাকা নিচ্ছে। শুধু ইউএসজি নয়, হাসপাতালে এখন ইঞ্জেকশন থেকে ওষুধ সব কিনতে হচ্ছে। অথচ মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে। কতটা উন্নয়ন হয়েছে, তা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে গেলেই দেখা যাবে।
সাধারণত গর্ভবতী মহিলা, অ্যাপেন্ডিক্স, হার্নিয়া থেকে পেটের রোগ নির্ণয়ে ইউএসজি একান্ত দরকার। রঘুনাথপুরের এক গর্ভবতী মহিলা বলেন, দীর্ঘ এক মাস আগে হাসপাতালে ইউএসজি করার জন্য দিন দিয়েছিল। কিন্তু আজও ছবি হয়নি। খুব অসুবিধায় পড়েছি।
রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার নির্মল মণ্ডল অভিযোগের বিষয়টি মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন, সরাসরি স্বাস্থ্যভবন থেকে মেশিনটি দেওয়া হয়েছে। প্রায় কোটি টাকার উপর দাম মেশিনটির। তাই মেশিনটি ঠিক করার জন্য রাজ্যের স্বাস্থ্যভবনকে জানানো হয়েছে। এছাড়া আমরাও একটি কোম্পানির সঙ্গে কথা বলেছি। যদি ২০-৩০ হাজার টাকার মধ্যে সারানো যায়, তাহলে করে নেওয়া হবে। কিন্তু খরচ ২-৩ লাখ হলে স্বাস্থ্যভবনের উপর নির্ভর করতে হবে। ওষুধ ও ইঞ্জেকশনের বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির জন্য কিছু ক্ষেত্রে সাপ্লাই ঠিকমতো হচ্ছে না। তবে খুব তাড়াতাড়ি সেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সদস্য অনাথবন্ধু মাজি বলেন, বিষয়টি শুনেছি। অসুবিধা দূর করার জন্য মহকুমা শাসককে জানানো হয়েছে।