বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আদালত ও প্রশাসনের নির্দেশ মেনে কৃষ্ণনগরের অধিকাংশ বারোয়ারিই জগদ্ধাত্রী পুজোয় শৃঙ্খলা মেনে প্রথম দিনের বিসর্জন সম্পন্ন করে। তবে রাতে বিক্ষিপ্ত কয়েকটি ঘটনাও ঘটে। বিসর্জনের ঘাটে দু-একটি বারোয়ারি অতিরিক্ত লোক নিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে। রাত ১১টা নাগাদ একটি বারোয়ারির পক্ষে অনেক লোক কদমতলা ঘাটে ঢুকতে চেষ্টা করলে প্রথমে পুলিসের সঙ্গে তাদের বচসা হয়। পরে পরিস্থিতির অবনতি হলে পুলিস লাঠিচার্জ করে বলেও অভিযোগ। তবে বড় কোনও অঘটন ছাড়াই বিসর্জন সম্পন্ন হয়। দ্বিতীয় দিন, বুধবার বিকেল পর্যন্ত নির্বিঘ্নেই বিসর্জন সম্পন্ন হয়। এব্যাপারে অনেকটাই কৃতিত্ব পুলিস ও বাসিন্দাদের। সাঙ নিয়ে চাপা ক্ষোভ ছিল শহরজুড়েই। পুলিসকে নানাভাবে উস্কানি দেওয়ারও চেষ্টা করা হয়। অশালীন স্লোগানও দেওয়া হয়। তবে পুলিস ওইদিন পুরোপুরি সংযত ছিল। তাদের লক্ষ্যই ছিল, কোনও গণ্ডগোল ছাড়াই গোটা বিসর্জন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা। সেক্ষেত্রে তারা সফল বলা চলে।
যদিও এবছর যে কারণে সাঙ এবং প্রতিমার রাজবাড়ি প্রদক্ষিণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল, সেই করোনা পরিস্থিতি ভুলে রাস্তায় আট থেকে আশির ঢল নেমেছিল। বরাবরের মতো জনসমুদ্র নামে কৃষ্ণনগরের রাস্তায়। মূলত শহরের পোস্ট অফিস মোড় থেকে কদমতলা ঘাট পর্যন্ত রাস্তা ভিড়ে থিকথিক করে। রীতি অনুযায়ী চাষাপাড়া বারোয়ারির বুড়িমার ভাসান হয় সবার শেষে। সারারাত জেগে সেই বিসর্জন পর্ব শেষ করে বাড়ি ফেরেন বেশিরভাগ বাসিন্দা। এবছরও তার অন্যথা হয়নি। ভোররাত প্রায় সাড়ে তিনটে নাগাদ বুড়িমা পৌঁছয় কদমতলা ঘাটে। রাস্তায় দু’ধারে মানুষের ভিড় দেখে তখন অনেক পুলিসকর্মী বলছিলেন, কাদের জন্য এইসব ব্যবস্থা নেওয়া হল? যদিও বাসিন্দাদের একটা অংশ বলেছেন, এটাই কৃষ্ণনগর, এখানে জগদ্ধাত্রী পুজো আমাদের আবেগ! কৃষ্ণনগরের পুলিস সুপার বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, এত প্রচারের পরও করোনা পরিস্থিতি ভুলে গিয়ে এত মানুষের ভিড় সত্যিই আমরা আশা করিনি। তবে অধিকাংশ পুজো কমিটি আমাদের সবরকমভাবে সহযোগিতা করেছে।
এবারও বড় গণ্ডগোল ছাড়াই নির্বিঘ্নে জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রা হল। পুলিস আধিকারিক থেকে পুলিসকর্মীদের চূড়ান্ত পরিশ্রম, পরিকল্পনা, বার বার পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক, সর্বোপরি পুজো কমিটিগুলির সহযোগিতাতেই এই ‘অসাধ্য’ সাধন হয়েছে বলেই মত অনেকের। মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হয়েছিল এই শহরে। বিভিন্ন পাড়ার বারোয়ারিগুলির মধ্যে প্রতিবছর লড়াই চলে। এর আগে হিংসা, রক্তপাত এমনকী মৃত্যুও হয়েছে এই বিসর্জন পর্ব ঘিরে। যদিও এবছর ক্ষোভ ছিল পুলিসের বিরুদ্ধে। কিন্তু বারোয়ারিগুলির সহযোগিতায় সবটা যথাযথভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। মালোপাড়া বারোয়ারির অভিযোগ, রীতি মেনে কয়েকজন মহিলা ও ঢাকিকে ঘাটে ঢুকতে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু পুলিস তাতে কান না দিয়ে লাঠি চার্জ করে। নিজস্ব চিত্র