বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক বিভূ গোয়েল বলেন, নবান্ন থেকে ব্লকভিত্তিক উন্নয়নের রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। আমরা ব্লক থেকে সেসব সংগ্রহ করছি। আমাদের জেলায় অতিরিক্ত জেলাশাসক থেকে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এবং বিডিওদের অনেকেই বদলি হয়ে গিয়েছেন। যে কারণে একটু সময় লাগছে। এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা ওই রিপোর্ট সংগ্রহ করে নবান্নে পাঠিয়ে দেব।
২০১১ সালের পর থেকে প্রতিটি ব্লকে মোট নলকূপ, কালভার্ট, কংক্রিট রোড, ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার অফিস, ত্রাণ দপ্তরের গোডাউন, সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের অধীনে অতিরিক্ত শ্রেণীকক্ষ, ওই দপ্তরের অধীনে আইসিডিএস কেন্দ্র, কবরস্থানের প্রাচীর, যুবকল্যাণ দপ্তরের অধীন ইনডোর গেমস কমপ্লেক্স এবং অনগ্রসর শ্রেণীকল্যাণ দপ্তরের অধীন ছাত্রাবাসের সংখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছে। একইভাবে সাড়ে ন’বছরে প্রতিটি ব্লকে বার্ধক্যভাতা, বিধবাভাতা ও মানবিক ভাতা প্রাপকের সংখ্যা জানাতে বলা হয়েছে। ২০১১ সালের মে মাস থেকে প্রতিটি ব্লকে মোট শৌচাগারের সংখ্যা ও ১০০ দিনের কাজে ব্লকভিত্তিক মোট খরচ ও কর্মদিবসের সংখ্যা জানাতে হবে।
গত সাতটি আর্থিক বছরে ব্লকভিত্তিক গীতাঞ্জলি প্রকল্পে উপকৃত সংখ্যা, আবাস যোজনায় উপকৃতের সংখ্যা, রূপশ্রী, কন্যাশ্রী, সবুথসাথী এবং জাতিগত শংসাপত্র দেওয়ার পরিসংখ্যানও চাওয়া হয়েছে। কন্যাশ্রীর ক্ষেত্রে কে-১ এবং কে-২ আলাদা করে উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। সবুথসাথী সাইকেল প্রাপকের তালিকায় মোট ছাত্র এবং মোট ছাত্রীর সংখ্যা জানাতে হবে। কাস্ট সার্টিফিকেট কলমে এসসি, এসটি এবং ওবিসি আলাদা করে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।
ন্যাশনাল সোশাল অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রাম (এনএসএপি) স্কিমের অধীন মোট উপভোক্তা সংখ্যা এবং সমব্যথী স্কিমে মোট বেনিফিসিয়ারির সংখ্যাও জানাতে হবে। প্রতিটি জেলায় জেলা পরিকল্পনা অফিস থেকে ওই তথ্য ব্লকে ব্লকে সংগ্রহ করে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। গত ৫ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিটি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন। সেখানে জেলা ধরে বিভিন্ন স্কিমের রিভিউ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনা মহামারীর জেরে গত কয়েকমাস বিভিন্ন সরকারি কাজ থমকে গিয়েছিল। কিন্তু, আনলক পর্বে ফের কাজে গতি এসেছে। এই অবস্থায় ভোটের দামামা বাজার আগে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের কাজে গতি আনার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই মতো জেলায় জেলায় বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার মহামারীকে ঢাল করে সাংসদ কোটার টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তাতেও উন্নয়নে যাতে কোনও খামতি না থাকে, সেই ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। নিজস্ব চিত্র