বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এদিন সিউড়ির জেলা স্কুলমাঠে বিজেপির রাজ্য সভাপতির সভা ছিল। সেই সভায় যোগ দেওয়ার জন্য বোলপুরের সিঙ্গি, পাঁচশোয়া, ইতণ্ডা, বড়ডিহা এলাকার বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা গাড়িতে করে সিউড়ি যাচ্ছিলেন। বিজেপির অভিযোগ, বোলপুরের শিমুলিয়া এলাকায় বিজেপির গাড়ি যেতেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। প্রথমে গুলি চালায়। পরে গাড়ি ভাঙচুর করে। সেই সময় বোমাবাজিও করা হয়।
গন্ডগোলের খবর পেয়ে পুলিস এলাকায় যেতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপির কর্মী সমর্থকরা তৃণমূল কর্মীদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। সেই সময় বোমাবাজি শুরু হয়। বিজেপি কর্মীরা এক তৃণমূল কর্মীকে আটকে বেধড়ক মারধর করে। উত্তেজিত লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিস প্রথমে লাঠিচার্জ করে। কিন্তু, তাতেও কাজ না হওয়ায় কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় শিমুলিয়া সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় পুলিস টহল দেয়।
শিমুলিয়ায় অশান্তির খবর পাওয়ার পর দিলীপবাবু বলেন, যেখানে তৃণমূল হামলা চালিয়েছে সেখানে ৫০ হাজার লোক নিয়ে সভা করা হবে। তিনি কর্মীদের বলেন, আমি তো বলেছি, বাড়ি থেকে বেরনোর সময় বাঁশ কেটে আনবেন। যারা মারপিট করতে আসবে তাদের হাসপাতাল ঘুরিয়ে বাড়ি পাঠাবেন।
তৃণমূলের বীরভূম জেলা সহ সভাপতি তথা মেন্টর অভিজিৎ সিংহ বলেন, বিজেপি সারা বাংলায় অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। লোকসভা ভোটের পর থেকেই অশান্তি, গণ্ডগোল করছে। এদিন শিমুলিয়ার গন্ডগোলের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই সেখানে অশান্তি হয়েছে।
সিউড়ির সভায় দিলীপবাবু বলেন, আমাদের কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। মামলা চালাতে অনেক খরচ হচ্ছে। লাল ডায়েরিতে তার হিসেব রাখা হচ্ছে। ক্ষমতায় আসার পর সুদ সহ আদায় করব। যেসব পুলিস অফিসার সেই মামলা করছেন তাঁরা যেখানেই যান না কেন, এখানে নিয়ে এসে প্যারেড করাব। তিনি আরও বলেন, যত বড়ই নেতা হোক। যারা মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ আমরা নেব। সিউড়ি, কলকাতা, ভুবনেশ্বরের জেলে পাঠিয়ে দেব।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি এদিন ফের বলেন, এবারের বিধানসভা ভোটে দিল্লি থেকে পুলিস এসে বুথ পাহারা দেবে। এখানকার পুলিসকে আমরা ভোটকেন্দ্রের কাছে রাখব না। তিনি এদিন চায়ে পে চর্চায় বলেন, পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে উপদ্রুত জেলা বীরভূম। এখানে পার্টি অফিস থেকে ঝুড়ি ঝুড়ি বোমা পাওয়া যায়। জঙ্গি ধরা পড়ছে বাংলায়। কাশ্মীরে জঙ্গি ধরা পড়ে না। সেখানে জঙ্গিরা উপরে চলে যায়। এখানে এসে সবাই শেল্টার নিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গটা দ্বিতীয় কাশ্মীর হয়ে গিয়েছে।
তিনি সভায় বলেন, সংখ্যালঘুদের শোষণ করেছে তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস। বিজেপি ক্ষমতায় এলে আপনারা সুরক্ষিত থাকবেন। কেউ আপনাদের দিকে ট্যাড়া চোখে তাকাবে না। তিনি আরও বলেন, কোনও কনসেশন হবে না। বীরভূমে ১১টি বিধানসভা আসনই চাই। রাজ্যে পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই লড়াই চালিয়ে যাব।