বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ, সূতি, ধুলিয়ান সহ ডোমকল মহকুমার বেশকিছু এলাকায় বাড়তি নজরদারি চালানো হচ্ছে। ওই এলাকাগুলিতে তারা গোপন ডেরা বাঁধতে পারে। লকডাউনের সময় সামশেরগঞ্জ থেকে এক জেএমবি জঙ্গি গ্রেপ্তারও হয়েছিল। সে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় থেকে স্লিপার সেল তৈরি করেছিল। তারপর থেকেই ওই এলাকায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারির মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যেই বাংলাদেশ থেকে ইনপুট পাওয়ার পর বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের শাহজাদপুরে একটি বাড়িতে জেএমবি সদস্যরা বৈঠক করছিল। তারা ওই বাড়িটি ভাড়া নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সেখানে ডেরা বেঁধেছিল। বাংলাদেশের বিশেষ বাহিনী সেখানে গিয়ে প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে অভিযান চালানোর পর চারজনকে গ্রেপ্তার করে। রাজশাহী জেলা থেকেও কিছুদিন জঙ্গি সংগঠনের এক কমান্ডার সহ চারজন গ্রেপ্তার হয়েছে। মাঝে বেশ কিছুদিন জেএমবি কার্যকলাপ কমেছিল। তারা স্লিপার সেল তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। কিন্তু এখন তারা অ্যাকশন মুডে আসতে চাইছে। সেই কারণেই গোয়েন্দাদের দুশ্চিন্তা বেড়েছে। এক আধিকারিক বলেন, মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় জেএমবির স্লিপার সেল বহুদিন ধরে রয়েছে। তাই বাংলাদেশ থেকে তাড়া খেয়ে আসা জঙ্গিদের এপারে আশ্রয় নিতে তেমন সমস্যা হবে না। সীমান্তে এখন কড়াকড়ি রয়েছে ঠিকই, কিন্তু ওপার থেকে আসা তেমন কোনও কঠিন বিষয় নয়। সীমান্তবর্তী এলাকার ভৌগোলিক অবস্থানের সুযোগ নিয়ে তারা খুব সহজেই এপারে চলে আসতে পারে। সেই কারণে লোকাল সোর্স বাড়ানো হয়েছে। সন্দেহজনকভাবে কাউকে ঘোরাফেরা করতে দেখলে তার গতিবিধির উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে।
গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, নব্য জেএমবির সদস্যরাই নতুন করে মাথা তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের নেতা সালাউদ্দিন সালেঁহাকে দুই দেশের গোয়েন্দারাই দীর্ঘদিন ধরে খুঁজে বেড়াচ্ছে। সে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে পারে বলে গোয়েন্দাদের অনুমান। প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের আল কায়েদা জঙ্গি সংগঠনের শিকড়ও অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত। এনআইএ ওসামা বিন লাদেনের দলের ১১জন সদস্যকে গ্রেপ্তারও করেছে। আরও বেশ কয়েকজন ফেরার থাকায় ওই গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা জেলায় ঘাঁটি গেড়ে রয়েছেন। তার মাঝে আবার জেএমবিও সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করায় গোয়েন্দাদের ঘুম ছুটে গিয়েছে। জেএমবি তাদের সংগঠন বিস্তার লাভ করতে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিকে প্রথম থেকেই বেছে নিয়েছে। ওই সমস্ত এলাকার গ্রামগুলিতে গিয়ে তারা ছোট ছোট বৈঠক করছে। তবে অর্থ এখন তাদের কাছে বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। ফান্ড সংগ্রহের জন্য তারা মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অর্থের সঙ্কট শুরু হাওয়ায় একসময় তাদের ডাকাতিও করতে হয়েছে। এখন তারা চাঁদা তুলেই সংগঠন চালাচ্ছে। এছাড়া তারা বিভিন্ন কাজ করেও আয় করছে। নিজেদের পরিশ্রমের টাকাও তারা সংগঠনে ঢালছে। তবে তাদের এরাজ্য থেকে কেউ চাঁদা দিয়ে সহযোগিতা করছে কি না, সেই বিষয়টিও আধিকারিকদের নজরে রয়েছে।