বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
মিমুলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মলয়কুমার দাস বলেন, মিমুল কেয়ার অ্যাপ চালু হয়ে গেলে গ্রাহক থেকে গোপালক, সকলেরই সুবিধা হবে। কোন আউটলেটে কী কী খাদ্যপণ্য মজুত রয়েছে, তা ঘরে বসেই গ্রাহকরা জানতে পারবেন। আউটলেটে গিয়ে খাদ্যপণ্য না পেয়ে অকারণে আর কাউকে ফিরে আসতে হবে না। আর মিমুল সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য গোপালকরা অ্যাপের মাধ্যমে জানতে পারবেন। এছাড়া অনেক সময় মিমুল নতুন নতুন খাদ্যসামগ্রী বাজারে নিয়ে আসে। এই অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকরা তাও জানতে পারবেন।
মিমুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে আউটলেটের মাধ্যমে মিমুলের তৈরি খাদ্যপণ্য বিক্রি শুরু হয়। সেই বছর পশ্চিম মেদিনীপুরে মাত্র তিনটি আউটলেট ছিল। সবই ছিল মেদিনীপুর শহরে। আউটলেটে দুধের প্যাকেট আর ঘি বিক্রি করা হতো। তাতে বিপুল সাড়া পাওয়ায় ২০১৯ সালে আরও ১১টি নতুন আউটলেট খোলা হয়। মেদিনীপুর শহরে সাতটি, খড়্গপুরে পাঁচটি এবং শালবনীতে দু’টি আউটলেট চালু করা হয়। চলতি বছরের প্রথমদিকে ফের কয়েকটি জায়গায় আউটলেট খোলা হয়। ঘাটাল, ক্ষীরপাই, চন্দ্রকোণা রোড, চন্দ্রকোণা টাউন, দাঁতনের খাকুরদা, খড়্গপুরের মাদপুর এলাকায় নতুন আউটলেটগুলি রয়েছে। সেখানে দুধ, ঘিয়ের পাশাপাশি পনির ও পেড়া পাওয়া যায়।
মিমুলের তৈরি উৎপাদিত খাদ্যপণ্য কোন আউটলেকে কী পরিমাণ মজুত রয়েছে, তা জানানোর জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মিমুল কেয়ার অ্যাপটি তৈরি করা হচ্ছে। ওই অ্যাপটি মোবাইলে ডাউনলোড করে নিতে হবে গ্রাহকদের। এরপর তাঁরা এক ক্লিকেই মিমুলের যাবতীয় আউটলেটের খুঁটিনাটি জানতে পারবেন।
অনেক সময় চিলিং প্ল্যান্টে অতিরিক্ত দুধ মজুত থাকার কারণে গোপালকদের কাছে থেকে দুধ নেওয়া সাময়িক বন্ধ রাখা হয়। জেলার ২৩২টি সমবায় সমিতিকে মিমুলের পক্ষ থেকে সেই তথ্য দেওয়া হয়। পরে, ওই সমবায় সমিতিগুলি গোপালকদের বিষয়টি জানায়। কিন্তু, এই অ্যাপ চালু হয়ে গেলে মিমুল সরাসরি সমবায় সমিতির সঙ্গে যুক্ত জেলার প্রায় ১৮ হাজার গোপালকের কাছে এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য পৌঁছে দিতে পারবে।