বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
দুর্গাপুর পুরসভার মেয়র দিলীপ অগস্থি বলেন, পুজোর আগেই প্রতিটি ওয়ার্ডে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকার কাজ হচ্ছে। এছাড়া বেশ কিছু বড় প্রকল্পও নেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারি এই কারখানা মাইনিং অ্যান্ড অ্যালাইড মেশিনারি কর্পোরেশন(এমএএমসি) দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের এক উজ্জ্বল নাম ছিল। উচ্চ হারে বেতন, কারখানার শ্রমিকদের জন্য পৃথক টাউনশিপ, এলাকার চাকচিক্যই ছিল আলাদা। কিন্তু এখন সবই অতীত। কেন্দ্রীয় সরকার কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। ভোট এলেই তা খোলা নিয়ে শুরু হয় মিথ্যা রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি। টাউনশিপও যেন খাঁ খাঁ করছে। এবার বাসিন্দাদের এলাকা উন্নয়নে তৎপর হয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলার। মূলত দুর্গাপুর পুরসভার ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে রয়েছে এই টাউনশিপ। সেখানে প্রতিটি রাস্তা আধুনিক আলোয় সাজানোর কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার দেবব্রত সাঁই বলেন, এক কোটি ৪২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই কাজ করা হচ্ছে।
এছাড়াও শহরজুড়ে একাধিক নতুন রাস্তা গড়ে তোলা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিরও সংস্কার হচ্ছে। কিছুদিন আগেই প্রায় ন’কোটি টাকা ব্যয়ে এসএন ব্যানার্জি রোড সংস্কারের বরাত দিয়েছে পুরসভা। এবার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যাসাগর পল্লিতে চারটি নতুন রাস্তার কাজের সূচনা হয়েছে রবিবার। ওই ওয়ার্ডেই রয়েছে দুর্গাপুর পুরসভার ব্যারাক। সেখানে বহু কর্মী থাকেন। সেখানকার রাস্তাগুলিও সংষ্কার করা হচ্ছে। দুটি ক্ষেত্রেই মোট ২০ লক্ষ টাকা ব্যয় হবে।
তবে দুর্গাপুরের বিস্তীর্ণ অংশের মানুষ বর্ষাকালে জল জমার সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে মেনগেট, ৫৪ ফুট সহ বিভিন্ন এলাকায় জল জমে যায়। এবার সেইসব এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা নতুন করে গড়ে তোলা হচ্ছে। ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি হাই ড্রেন তৈরি করা হচ্ছে। একটি গোপালমাঠ থেকে তামলা নালা, ধাণ্ডাবাগ থেকে তামলা নালা ও ট্রাঙ্ক রোড থেকে চাষি পাড়া পর্যন্ত এই ড্রেনগুলি হবে।