বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
১৮টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত রামপুরহাট পুরসভা। নগরোন্নয়নের ফলে যত দিন যাচ্ছে শহরের বসতি তত বাড়ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পানীয় জলের চাহিদা। এতদিন শহরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ওয়াটার রিজার্ভার থেকে ৮, ৯, ১৫ ও ১৮ এবং গান্ধী পার্কের জলট্যাঙ্ক থেকে ৪, ৫, ৬, ৭, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে পানীয় জল সরবরাহ করা হয়। এদিকে ডাক্তারপাড়ায় ৩ লক্ষ ৮০ হাজার লিটারের জলট্যাঙ্ক থেকে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের একাংশ, ১০, ১১, ১২, ১৩ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে পানীয় জল সরবরাহ হয়ে আসছিল। ভাগাড়পাড়া জলট্যাঙ্ক থেকে ১, ২, ৩, ১৪ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে জল দেওয়া হয়। কিন্তু, পর্যাপ্ত পানীয় জল না পাওয়া ঘিরে শহরবাসীর অভিযোগ বিস্তর। কোথাও জল পড়ছে সরু সুতোর মতো, কোথাও আবার মিনিট দশেক জল পড়ে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে, ফিবছর গ্রীষ্মে শহরজুড়ে জলকষ্ট দেখা দেয়। যা নিয়ে শহরবাসী ক্ষুব্ধ ছিলেন।
পানীয় জলের সেই আকাল দূর করতে ২০১৭ সালে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন জানায় পুরসভা। সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। সেই টাকায় ডাক্তারপাড়ার ভগ্নপ্রায় ওয়াটার রিজার্ভার ভেঙে ঝনঝনিয়া পাম্প হাউসে অপেক্ষাকৃত বড় সাড়ে সাত লক্ষ লিটারের ওয়াটার রিজার্ভার তৈরির কাজ শুরু হয়। যার কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে বলে পুরসভার দাবি। নতুন এই ট্যাঙ্ক থেকে ১০, ১১, ১২, ১৩ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে জল সরবরাহ করা হবে। বাকি তিনটি ট্যাঙ্ক থেকে অন্য ওয়ার্ডগুলিতে জল দেওয়া হবে।
পুরসভার প্রশাসক অশ্বিনী তেওয়ারি বলেন, এতদিন যে পরিমাণ জল সরবরাহ করা হতো, নতুন ট্যাঙ্ক চালু হলে দু’বেলা মিলিয়ে অতিরিক্ত ১৫ লক্ষ লিটার জল সরবরাহ করা হবে। এতে প্রতিটি ওয়ার্ডবাসী অনেক বেশি সময় জল পাবেন। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, পুজোর সময় মানুষজন বাড়িতে থাকেন। এছাড়া অনেক আত্মীয়স্বজন বেড়াতে আসেন। ফলে, জলের চাহিদা বেড়ে যায়। তাই ষষ্ঠী থেকে একাদশী পর্যন্ত দু’বেলার বদলে তিনবেলা জল সরবরাহ করা হবে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন ট্যাঙ্কের মাধ্যমে যেসব ওয়ার্ডে জল সরবরাহ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তাতে নতুন করে পাইপ লাইন করার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ, আগে ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার লিটার ওয়াটার রিজার্ভারের জন্য পাইপ বসনো হয়েছিল। যা প্রায় ৩০ বছর আগে। এখন সাড়ে সাত লক্ষ লিটারের ওয়াটার রিজার্ভারের জল সেই পাইপে পাঠানো হলে চাপে ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পুরসভা অবশ্য জানাচ্ছে, ওই ওয়ার্ডগুলিতে পুরনো ‘সিআই’ পাইপ তুলে নতুন করে ‘ডিআই’ পাইপ বসানো হবে। ওয়াটার রিজার্ভার নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ। পুজোর পর থেকে সেই পাইপ বসানোর কাজ শুরু হবে। প্রশাসক বলেন, জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি পুরভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার আগেই এই জল প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে। যদিও শহরের বাসিন্দাদের দাবি, অবৈধভাবে পাম্প সংযোগ করে জল চুরি বন্ধ না হলে পুরসভার এই উদ্যোগ কতটা বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।