বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পূর্ব বর্ধমানের পুলিস সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, হাওড়ার সোনা লুট কাণ্ডে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগেই পালসিট ফাঁড়ির ইনচার্জ পৃথ্বীশ মণ্ডলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়েছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।
গত শনিবার হাওড়ার জগাছা থানার পঞ্চাননতলায় একটি স্বর্ণবন্ধকী সংস্থা থেকে প্রায় ২৪-২৫ কেজি সোনা লুট করে দুষ্কৃতীরা। সঙ্গে রাজ্য থেকে সমস্ত জেলার পুলিস কর্তাদের বিষয়টি জানিয়ে নাকাচেকিং শুরু করতে বলা হয়। পুলিসের দাবি, দুষ্কৃতীদের চেহারা ও উচ্চারণের বিবরণ শুনে সন্দেহ হয়েছিল, তারা বিহার অথবা ঝাড়খণ্ডের গ্যাং। তাই দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের উপর জোর নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়। চারজন দুষ্কৃতী সোনা নিয়ে পালিয়েছে বলে খবর ছিল। লুটের পর তারা বাইক নিয়েই চম্পট দিয়েছিল। মাত্র এই দু’টো তথ্য ছিল জেলা পুলিসের হাতে।
গত ১৭ জুলাই খোদ বর্ধমান শহরেও একটি স্বর্ণবন্ধকী সংস্থার অফিসে একই কায়দায় ডাকাতি হয়েছিল। দুষ্কৃতীরা প্রায় ৩০ কেজি সোনা নিয়ে চম্পট দিয়েছিল। পালাবার সময় তাদের ছোঁড়া গুলিতে একজন জখম হয়েছিলেন। ওই ঘটনাতেই দুষ্কৃতীরা দ্রুত বাইকে করেই পালিয়ে গিয়েছিল। সোনা উদ্ধার হয়নি। কেউ ধরাও পড়েনি। তাই হাওড়ার ডাকাতি শুনেই নাকার উপর বিশেষ জোর দিয়েছিল পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিস। খোদ পুলিস সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় সমস্ত থানার ওসিকে রাস্তায় নামার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি নিজেও তদারকিতে নামেন। জেলা পুলিসের অন্য আধিকারিকরাও রাস্তায় নেমেছিলেন।
পালসিট টোলপ্লাজাকেই প্রথম টার্গেট করেছিল পুলিস। কিন্তু, সেখানে দুষ্কৃতীরা ধরা পড়েনি। বর্ধমানের নবাবহাটের নাকা চেকিংয়ে তারা আটকে পড়ে। তারা মারুতি সুইফ্ট গাড়িতে করে পালাচ্ছিল। ধরা পড়ার ভয়ে আস্তে করে দুষ্কৃতীরা গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে যায়। নাকার জন্য প্রচুর গাড়ির লাইন পড়েছিল। তাই সেই ভিড়ে তাদের গা ঢাকা দিতে অসুবিধা হয়নি। ওই মারুতি গাড়ির ভিতর থেকেই পুলিস লুট হওয়া সোনা উদ্ধার করে।
লুট হওয়া সমস্ত সোনা উদ্ধারকে বড় সাফল্য হিসেবে দেখলেও দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যাওয়ায় কার কার গাফিলতি ছিল তা চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে জেলা পুলিস। এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, কলকাতার দিক থেকে এসে পালসিট টোলপ্লাজা দিয়ে ওই মারুতি গাড়িটি পার হয়েছে বলে সিসি টিভির ফুটেছে দেখা গিয়েছে। সেখানে নাকা চেকিংয়ে ওই ফাঁড়ির ইনচার্জকে সক্রিয়ভাবে দেখা যায়নি। পালসিট টোলে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করা অনেকটাই সহজ ছিল। কিন্তু, দুষ্কৃতীরা অনায়াসেই নাকা চেকিংয়ের মধ্যেও টোল পেরিয়ে যাওয়ায় পুলিস কর্তারা বেজায় চটেছেন।