বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বিডিও দীপান্বিতা বর্মন বলেন, সন্তোষজনক উত্তর না মিললে ওই সমস্ত আবেদনকারীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, আবেদনকারীকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, বিয়ের কার্ড ও সঙ্গে অবিবাহিতা বলে স্বীকারোক্তি দিতে হয়। তারপর সরেজমিনে তদন্ত করে তবেই রাজ্যে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। খোঁজখবর নিতে গিয়ে আধিকারিকরা জানতে পারেন, কার্ডে পাত্র হিসেবে যাঁর নাম ছাপা হয়েছে তাঁর সঙ্গে আবেদনকারী কারও আট বছর আগে বিয়ে হয়েছে। তাঁদের দু’টি সন্তানও রয়েছে। কেউ আবার নাবালিকা অবস্থায় বিয়ে করেছেন। বয়স ১৮ বছর হতেই বিয়ের কার্ডে স্বামীর নাম পাত্র হিসেবে ছাপিয়ে আর্থিক সুবিধা পেতে আবেদন করেছেন।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর এখনও পর্যন্ত ২০২জন রূপশ্রী প্রকল্পে আবেদন করেছেন। তার মধ্যে ২১জন তথ্য গোপন করে স্বামীকে পাত্র সাজিয়ে আবেদন করেছেন। এই ব্লকের আয়াস ও বরশাল অঞ্চলে এমন আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি। অলোকবাবু বলেন, আমরা চাই দুঃস্থ পরিবারের মেয়েরা আর্থিক সুবিধা পান। কিন্তু, এভাবে তথ্য গোপন করে আবেদন করলে তো আর হবে না। তিনি বলেন, যাঁরা সঠিক আবেদন করেছেন সরকার থেকে তাঁদের আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে।
এক আধিকারিক বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে আধিকারিকরা গ্রামে এসে তদন্ত করবে না, এই ভেবে তাঁরা তথ্য গোপন করে আবেদন করে থাকতে পারেন। এরা সকলেই গরিব। নিশ্চয়ই কেউ তাঁদের ভুল বুঝিয়ে আবেদন করিয়েছেন। তাঁর মতে, এভাবে রূপশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দিতে একটা চক্র গড়ে উঠেছে। আমরা পুলিসকে সেটাই খুঁজে বের করতে বলেছি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে এলাকার বেশ কয়েকজন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভুল বুঝিয়ে রূপশ্রী প্রকল্পে আবেদন করার ক্ষেত্রে বিবাহিত মহিলাদের উৎসাহ দিয়ে চলেছেন। এছাড়া এই প্রকল্পে আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত থেকে পরিবারের ইনকাম সার্টিফিকেট লাগে। সেখানেও আবেদনকারীরা বিবাহিত হয়েও সেই সার্টিফিকেটে স্বামীর নামের বদলে পিতার নাম বলেছেন। যাতে সে অবিবাহিতা বোঝা যায়। তাই ব্লকের প্রত্যেক পঞ্চায়েতকে এধরনের সার্টিফিকেট দেওয়ার আগে ভালো করে খোঁজখবর নিতে বলেছেন বিডিও।