বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
সর্বশিক্ষা মিশনের জেলা প্রকল্প আধিকারিক সৌমনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অক্টোবর মাসেই যে মিড ডে মিল দেওয়া হবে, তার সঙ্গে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীদের মাস্ক দেওয়া হবে। জেলার সব ব্লকের এসআইদের কাছে মাস্ক পাঠিয়ে দেওয়া হবে। নির্দিষ্ট দিনে ব্লক থেকে মিড ডে মিলের সঙ্গে শিক্ষকরা তা সংগ্রহ করে নেবেন।
লকডাউনে স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই প্রাইমারি, আপার প্রাইমারির ছাত্রছাত্রীদের জন্য মিড ডে মিলের চাল, আলু দেওয়া শুরু করা হয়েছিল। গত মাসে ছাত্রছাত্রী পিছু দু’কেজি চাল, এক কেজি আলু, এক কেজি ছোলা এবং একটি সাবান দেওয়া হয়েছিল। এবারও সেই একই নির্দেশ মেনে চাল, আলু, ছোলা ও সাবান দেওয়া হবে। তার সঙ্গে বাড়তি পাওনা হিসেবে থাকছে মাস্ক। ইতিমধ্যেই অক্টোবর মাসে ছাত্রছাত্রীদের মিড ডে মিল দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।
সিদ্ধান্ত হয়েছে, অক্টোবর মাসের ১২ তারিখ থেকে এই জেলায় মিড ডে মিল দেওয়া হবে। সামাজিক দূরত্ববিধির কারণে পাঁচদিন ধরে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। মাস দু’য়েক আগে একবার মিড ডে মিলের সঙ্গে স্যানিটাইজার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তা দেওয়া নিয়ে এই জেলায় বিতর্ক তৈরি হয়। কারণ, এই জেলার একাধিক স্কুল নিজেদের উদ্যোগে স্যানিটাইজার কিনে নিয়েছিল। পরে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে স্কুলে স্কুলে স্যানিটাইজার সরবরাহ করা হয়। তাতে আগেভাগে স্যানিটাইজার কিনে রাখার জন্য বহু স্কুল কর্তৃপক্ষ সমস্যায় পড়ে। যদিও পরবর্তীকালে স্যানিটাইজারের পরিবর্তে মিড ডি মিলের সঙ্গে একটি করে সাবান দেওয়া শুরু হয়। এবারও সাবান দেওয়া হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
এর পাশাপাশি মিড ডে মিলের সঙ্গে এই প্রথম মাস্ক দেওয়া হবে। এই সিদ্ধান্তে প্রাইমারি, আপার প্রাইমারির শিক্ষকরা খুশি। তাঁদের বক্তব্য, শহরের দিকে মাস্ক পড়া নিয়ে সাধারণ মানুষ সচেতন হলেও গ্রামের দিকে এই অভ্যেসটা অনেকটাই কম। ছাত্রছাত্রীদের হাতে মাস্ক তুলে দেওয়া হলে বাড়ির লোকজনও মাস্ক পরা সম্পর্কে সচেতন হবেন।
শিক্ষক সংগঠনগুলিও সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছে। তৃণমূলের পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সভাপতি অর্ঘ্য চক্রবর্তী বলেন, মাস্ক এখন সকলের কাছে রক্ষাকবজ। তাই মিড ডে মিলের সঙ্গে মাস্ক দেওয়ার সিদ্ধান্ত খুবই ভালো উদ্যোগ। এসআইদের কাছে নির্দেশিকা এসেছে বলে শুনেছি। আমরা এখনও পাইনি। এই উদ্যোগের ফলে ছাত্রছাত্রীদের আরও বেশি করে সচেতন করা যাবে।