বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিমাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা হাসপাতালে থেকে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেবেন। এই উদ্যোগে হাসপাতালে পরিষেবার মান অনেকটাই ভালো করা সম্ভব হবে। শালবনী হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্সের এখনও ঘাটতি রয়েছে। ঘাটতিপূরণ করার জন্য রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরে লিখিত আবেদন জানানো হচ্ছে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের দল যোগ দিলে রোগীদের উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০ বেডের শালবনী করোনা হাসপাতালে এখন ১৩ জন চিকিৎসক এবং ২৩ জন নার্স রয়েছেন। যা রোগীর তুলনায় অনেকটাই কম। সেই ঘাটতি পূরণের জন্যই বৃহস্পতিবার থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আটজন চিকিৎসককে শালবনী করোনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাতে অ্যানাস্থেটিস্ট, চেস্ট মেডিসিন, জেনারেল মেডিসিনের চিকিৎসকরা রয়েছেন। আপাতত এক মাসের জন্য তাঁদের শালবনী হাসপাতালে থাকার নির্দেশিকা জারি হয়েছে। এর আগেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দু’জন সিসিইউ বিশেষজ্ঞকে শালবনী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। তাঁরা এখনও ওই হাসপাতালেই রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, শালবনী হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নানা প্রশ্ন তুলছে। জেলা প্রশাসন থেকে স্বাস্থ্যদপ্তর, সকলের কাছেই অভিযোগ গিয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের পক্ষ থেকে এই হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য প্রচুর যন্ত্রপাতি দেওয়া হয়েছে। রোগীদের জন্য দেওয়া হয়েছে অত্যাধুনিক বেডও। গত সপ্তাহে এমআর বাঙুর হাসপাতালের সুপার শিশিরকুমার নস্কর সহ দু’জন শালবনী করোনা হাসপাতালের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে আসেন। হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গেও তাঁরা কথা বলেন। ওই প্রতিনিধি দল ঘুরে যাওয়ার পরই বাঙুর হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল টিমের আসার বিষয়টি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তারা মনে করছেন।
স্বাস্থ্যদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা টানা সাতদিন থেকে রোগীদের চিকিৎসা করার পাশাপাশি হাসপাতালের অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবেন। ফলে, হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে।
জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মেনে স্বাস্থ্যদপ্তরের পক্ষ থেকে শালবনী হাসপাতাল, মেদিনীপুর আয়ুষ হাসপাতাল এবং ঘাটাল করোনা হাসপাতালে ১৮ জন করোনা যোদ্ধাকে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি হাসপাতালের জন্য ছ’জন করে করোনা যোদ্ধা থাকবেন।