বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বুধবার দিগনগরের কেঁওতলা আদিবাসীপাড়ায় মনসা পুজো ছিল। ওই পুজোর জন্য গ্রামের এক মহিলা খড়িনদীতে স্নান করে আসার পর থেকেই অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে। সে খাওয়া দাওয়া ছেড়ে পাড়ার ঠাকুরতলায় টানা হত্যে দিয়ে পড়ে থাকে। ওই পাড়ার লোকজনদের ধারণা হয় তার উপর দেবতা ভর করেছে।
ওই মহিলা রবিবার ঘোষণা করে, পাড়ায় এক ডাইনি আছে। তিনি গৃহবধূ। তাঁর জন্যই এই অসুস্থতা। মহিলা দাবি করেন, ওই ডাইনির কারণে পাড়ায় বড় বিপদও ঘনিয়ে আসছে। তাই তাঁকে না তাড়ালে গ্রামের মঙ্গল হবে না।
যাঁকে ডাইনি অপবাদ দেওয়া হয়েছে সেই বধূর বাপের বাড়ি ভেদিয়ায়। সেখানে ফোন করে গ্রামের লোকজন। তাঁরা বধূকে বাপের বাড়িতে নিয়ে যেতে বলে। কিন্তু, দুপুর পর্যন্ত ওই মহিলাকে বাপেরবাড়ি থেকে কেউ নিতে আসেননি। তারপরই গ্রামের লোকজন উত্তেজিত হয়ে ওঠে। বধূকে আটকে রাখে। খবর পেয়ে পুলিস গ্রামে যায়। বধূকে উদ্ধার করার চেষ্টা করে। কিন্তু, গ্রামের লোকজন তাকে পুলিসের হাতে ছেড়ে দিতে রাজি হয়নি। জোর করে ওই বধূকে পুলিসের গাড়িতে চাপানো হলে উত্তেজিত গ্রামবাসীরা পুলিসের গাড়ি ঘেরাও করে রাখে দীর্ঘক্ষণ। সন্ধ্যার মুখে গ্রামবাসীরা বধূকে পুলিসের হাতে ছাড়তে রাজি হয়। কিন্তু গ্রামবাসীরা পুলিসকে জানিয়ে দেয়, যেহেতু সে ডাইনি তাই ওই বধূকে আর গ্রামে থাকতে দেওয়া হবে না। এদিন সন্ধ্যায় বধূকে উদ্ধারের পর বর্ধমান থেকে র্যা ফ ও বিশাল পুলিস বাহিনী গ্রামে যায়। তখন পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট ও তির ছোঁড়া হয়। পুলিস পাল্টা কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়।
নির্যাতিতা বধূর স্বামী বলেন, আমি বাজারে গিয়েছিলাম। গ্রামে ফিরে এসে দেখি আমার স্ত্রীকে সবাই ডাইনি বলছে। ওকে গ্রাম থেকে চলে যেতে হবে বলে। আমি বাধ্য হয়ে গ্রামের লোকজনদের কথা মেনে নিই। সবাই একজোট হওয়ায় প্রতিবাদ করতে পারিনি।
এ বিষয়ে আউশগ্রাম-১ বিডিও চিত্তজিৎ বসু বলেন, একটা সমস্যা হয়েছিল। পুলিস সামাল দিয়েছে। আগামীদিনে যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সে জন্যছ আমরা ওই এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচার চালাব।