বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
করোনার জেরে লকডাউনের সময় বন্ধ ছিল সামাজিক বিয়ের অনুষ্ঠান। আনলক পর্যায়ে নির্দিষ্ট লোক সমাগমের বিধি মেনে বিয়ের অনুষ্ঠানের অনুমতি দিয়েছে সরকার। যদিও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় বিয়ের অনুষ্ঠানের ঝুঁকি নিচ্ছেন না অনেকেই। দূরত্ব বজায় রেখে কম সংখ্যক অতিথিদের নিয়ে কিছু কিছু বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান হলেও মন্দিরে বিয়ের সংখ্যাই বেশি। মন্দিরে ধর্মীয় রীতি মেনেই চলছে বিয়ে। এমনকী এক-একটি লগ্নতে কোনও কোনও মন্দিরে বিয়ের সংখ্যাটা দশ ছাপিয়ে যাচ্ছে। মন্দিরগুলিতে অবশ্য পাত্রপাত্রীর আধার কার্ড, পরিচয়পত্র ও বয়সের প্রমাণ দেখেই বিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
কালনার আশ্রমপাড়ার বাসিন্দা গোলক বাড়ুই ও পৌলমী দাস দু’জনেই কর্মসূত্রে দিল্লিতে বেসরকারি সংস্থায় স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। লকডাউনে বাড়ি ফিরে আসেন। কর্মস্থলে থেকেই এক অপরের প্রেমে পড়েন তাঁরা। যদিও বিয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই শুরু হয় লকডাউন। সমস্ত পরিকল্পনাই ওলটপালট হয়ে যায়। বুধবার তাঁরা বন্ধুদের উপস্থিতিতে কালনার সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে মালাবদল ও সিঁদুর দান সারেন। মন্দির চত্বরে সাতপাক ঘুরে শুরু করেন নতুন জীবন।
গোলকবাবু বলেন, এই দিনটির জন্য সকলেই অপেক্ষায় থাকে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সামাজিক অনুষ্ঠান খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই হিন্দুশাস্ত্র মতে মা সিদ্ধেশ্বরীকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করলাম। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রীতিভোজের আয়োজন করার ভাবনা রয়েছে।
মন্দিরের সেবাইত কাজল মুখোপাধ্যায়, অরূপ অধিকারী বলেন, অনেকেই মন্দিরে বিয়ের জন্য আসছেন। আমরা মায়ের সামনে হিন্দু মতে বিয়ে দিচ্ছি। আগের তুলনায় মন্দিরে বিয়ের সংখ্যাটা অনেকটাই বেড়েছে। অন্যান্যবার বেশিরভাগ বাড়িতে আনুষ্ঠানিক বিয়ের পর নবদম্পতি মায়ের আশীর্বাদ নিতে আসতেন। এবার পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা।
তবে শুধু সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরই নয়, কালনার অন্যান্য মন্দিরেও কয়েক মাসে বহু বিয়ে হয়েছে। তবে, বিয়ে হলেও কোনওরকম আড়ম্বর ছাড়াই বিয়েতে আফসোস যাচ্ছে না অনেকেরই। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে নবদম্পতি হাসিমুখেই ভগবানের কাছে শপথ নিচ্ছেন, ‘তোমার হৃদয় আমার হোক, আমার হৃদয় তোমার হোক’।