বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার বাইরে গিয়ে ৭৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এখনও ২০ জনের চিকিৎসা চলছে। জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২। আধিকারিকদের দাবি, উপসর্গ থাকা আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। মাতৃসদন কোভিড হাসপাতালে এখনও বেশ কিছু বেড ফাঁকা রয়েছে। এছাড়া আরও দু’টি হাসপাতাল তৈরি করে রাখা হয়েছে। তাই এখনই বেডের অভাব হবে না বলে স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তারা জানিয়েছেন। উপসর্গ না থাকা আক্রান্তদের বাড়িতে রেখে চিকিৎসা চলছে। মুর্শিদাবাদের ১৬৫ জন হোম আইসোলেশন রয়েছেন। এছাড়া জেলার চারটি সেফ হোমে ২৯ জনকে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে।
সংক্রমণের জেরে মুর্শিদাবাদ জেলায় ২৬টি কন্টেইনমেন্ট জোন করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বহরমপুর পুরসভায় ৯টি, ধুলিয়ান পুরসভায় ৫টি ওয়ার্ড ও বড়ঞা, বেলডাঙা, লালগোলা, সামশেরগঞ্জে কন্টেইনমেন্ট জোন করা হয়েছে। বহরমপুর পুরসভার ৪, ৭, ১৮, ২১, ২৩, ১৯, ৭, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু এলাকা কন্টেইনমেন্ট জোন করা হয়েছে। ধুলিয়ানের ৪, ৫, ৬, ৭, ১১, ১৩, ১৭ নম্বর ওয়ার্ড পুরোপুরি কন্টেইনমেন্ট জোন করা হয়েছে।
সীমান্তবর্তী লালগোলায় সোমবার একদিনে ১৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তা সত্ত্বেও সচেতনতার বালাই নেই। রাস্তাঘাট থেকে বাজার সর্বত্রই অসচেতনতার চিত্র। বেশিরভাগ মানুষই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। সামাজিক দূরত্বের বিধি মানা হচ্ছে না। সামাজিক স্বাস্থ্যবিধিকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চায়ের দোকান, রাস্তার মোড়ে আড্ডার ছবি দেখা যাচ্ছে। টোটো, ট্রেকারে ঠাসাঠাসি করে যাতায়াত চলছে। মঙ্গলবার লালগোলার শ্রীমন্তপুরে এক হাতুড়ে ডাক্তারের চেম্বারের সামনে রোগী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের জমায়েত লক্ষ্য করা যায়। একপ্রকার ঠাসাঠাসি করেই বসে ও দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভিড়ে পারস্পরিক দূরত্ব মানা হয়নি। অনেকের মুখেও মাস্ক ছিল না। ওই হাতুড়ে ডাক্তার অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি সাফাইয়ের সুরে বলেন, রোগী বা তাদের পরিবারের সদস্যদের সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে দাঁড়ানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া আছে। নির্দেশ মানা হচ্ছে কিনা তা সবসময় খেয়াল রাখা সম্ভব হচ্ছে না। লালগোলা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ মফিজ শেখ বলেন, বিষয়টি জানি না। তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি। জেলাজুড়েই ভিড় ও স্বাস্থ্যবিধি না মানার চিত্র লক্ষ্য করা যাচ্ছে। লালবাগের বাসিন্দা এক স্কুলশিক্ষিকা বলেন, কিছু মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মানলেও অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে চেষ্টা করছেন। তবে অনেক ক্ষেত্রে নিজেদের অজান্তেই স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে। তাছাড়া বাজারে বা রাস্তায় সবসময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয় না।