বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
প্রসঙ্গত, নন্দকুমার থেকে দীঘা হয়ে ওড়িশার জলেশ্বর পর্যন্ত ১১৬বি জাতীয় সড়ক তৈরির কাজ চলছে। নাচিন্দায় বাইপাস রাস্তার জন্য ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নাচিন্দায় শীতলা ও চণ্ডীমন্দির থেকে পূর্বদিক বরাবর খড়িপুকুরিয়া থেকে একটি ব্যাঙ্ক পর্যন্ত বাইপাস রাস্তা নির্মাণ হওয়ার কথা। সেই জন্য ১৯৫০ সালের জমি অধিগ্রহণ আইন অনুযায়ী ওই জায়গা অধিগ্রহণও করে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। সেই অধিগৃহীত জায়গার উপর দিয়ে বাইপাস না করে বর্তমান জাতীয় সড়কের কিছুটা সম্প্রসারিত করে সড়ক কর্তৃপক্ষ কোনওরকমে সম্প্রসারণের কাজ শেষ করতে চাইছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, নতুন করে জায়গা অধিগ্রহণ করে পিচ রাস্তা সম্প্রসারণ করা হলে নাচিন্দা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বহু বড় বড় পাকা বাড়ি ভেঙে দিতে হবে। দোকানদাররা জীবন-জীবিকা হারিয়ে সঙ্কটে পড়বেন। নাচিন্দায় প্রায় সাতশো দোকান রয়েছে। পাশাপাশি প্রচুর বাড়ি রয়েছে। একাধিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, দু’টি হাইস্কুল এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়াও ব্যাঙ্ক রয়েছে। এর সবটাই রায়ত জমিতে গড়ে উঠেছে। এই কারণে আমরা গ্রামবাসী এবং দোকানদাররা মিলে সম্মিলিতভাবে এই মাপজোখের কাজ বন্ধ রাখার আবেদন জানাই। ব্লক ভূমি রাজস্ব আধিকারিক ও জেলা প্রশাসনকেও আমরা লিখিতভাবে সমস্ত বিষয়টি জানিয়েছি।
এদিকে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, জমি অধিগ্রহণ করে জাতীয় সড়ক তৈরির কাজ যথেষ্ট ব্যয়সাপেক্ষ। তাই আপাতত মূল রাস্তার দু’দিকে ১০ মিটার করে চওড়া রয়েছে কি না, তা দেখে নেওয়া হচ্ছে। যদি ওই পরিমাণ জায়গা সরকারের অধীনে রয়েছে বলে জানা যায়, তাহলে বর্তমান রাস্তা সম্প্রসারণ করে জাতীয় সড়ক তৈরির কাজ হবে। পরে আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রস্তাবিত বাইপাস নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
এবিষয়ে কাঁথি-৩ পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি কর্মাধ্যক্ষ কণিষ্ক পণ্ডা বলেন, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ রায়ত জায়গা অধিগ্রহণ করে রাস্তা তৈরি করতে চাইছে বলে এলাকার বাসিন্দারা আপত্তি তুলেছেন। আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান করার চেষ্টা চালাচ্ছি।
জাতীয় সড়ক বিভাগের নির্বাহী বাস্তুকার তরুণ চক্রবর্তী বলেন, রায়ত জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে না। জাতীয় সড়কের দু’দিকে যে সরকারি জমি রয়েছে, তা মাপজোখ করে আমরা দেখে নিচ্ছি। এরপর নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।