বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, সোমবার রাতে তাদের কাছে খবর আসে, নলহাটির লক্ষ্ণীনারায়ণপুর থেকে ট্রাক্টর বোঝাই বিস্ফোরক রামপুরহাট সীমানা দিয়ে যাবে। সেইমতো অনেক আগে থেকেই ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া ভেলাই পাথরা গ্রামের কাছে ওত পেতে বসেছিল রামপুরহাট থানার পুলিসের একটি দল। বেশ কিছুক্ষণ পরে তারা লক্ষ্য করে একটি বাইক ও তার পিছনে একটি ট্রাক্টর আসছে। রাস্তা আটকে পুলিসের দল দাঁড়াতেই বাইক ও ট্রাক্টর ফেলে চম্পট দেয় চালক সহ আরোহীরা। পুলিস জানিয়েছে, বাইকে দু’জন ছিল। ট্রাক্টরে একজন। এরপর ট্রাক্টরের ট্রলিতে উঠে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক দেখে পুলিসের চোখ কপালে ওঠার জোগাড়।
পুলিস জানিয়েছে, ৩৮টি প্যাকেটে ১৯০০ ডিটোনেটর ও ২৫টি বস্তায় ১০হাজার জিলেটিন স্টিক উদ্ধার হয়েছে। দুষ্কৃতীরা পুলিসের চোখে ধুলো দিতে বিস্ফোরকগুলি রাজ্য সরকারের খাদ্যদপ্তরের আটার পলিথিনের বস্তার মধ্যে ঢুকিয়ে মুড়ে দিয়েছিল। উপর থেকে দেখে মনে হবে আটার বস্তা। রামপুরহাট মহকুমা পুলিস আধিকারিক সৌম্যজিৎ বরুয়া বলেন, আটক হওয়া বাইক ও ট্রাক্টরের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ধরে বিস্ফোরক কারবারিদের পাণ্ডাদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, রবিবার ভোর রাতে মুরারই থানার পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে রাজগ্রামের আম্ভুয়া গ্রাম থেকে বিস্ফারক বোঝাই দু’টি লরি ও বিস্ফোরক নিরোধক একটি ভ্যান আটক করে সিআইডি। উদ্ধার হয় ২৩ হাজার ৬০০ পিস জিলেটিন স্টিক ও ১৭২ বস্তা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। গ্রেপ্তার করা হয় অবৈধ কারবারিকে। অন্যদিকে, গত বছরের ১০ জুলাই মাসে একইভাবে ঝাড়খণ্ড লাগোয়া রদিপুর গ্রামের কাছে ১১৯ কুইন্টাল অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও প্রায় এক লক্ষ ডিটোনেটর উদ্ধার করে রামপুরহাট থানার পুলিস।
পুলিসের একটি সূত্র জানাচ্ছে, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, জিলেটিন স্টিক ও ডিটোনেটর দিয়ে পাথর খাদান এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এগুলি আবার বোমা তৈরির উপকরণও। তাই উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক পাথর খাদানে নাকি নাশকতার কাজে ব্যবহারের জন্য পাচার করা হচ্ছিল তা দেখা হচ্ছে। তবে, লক্ষ্মীনারায়ণপুর থেকে ট্রাক্টরে বিস্ফোরক বোঝাই করা হলে সেই গ্রামের কেউ এই কারবারের সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করছে পুলিস। সেইমতো তদন্ত শুরু হয়েছে।
তবে, একের পর এক বিস্ফোরক উদ্ধার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে এই জেলায় অবৈধ বিস্ফোরক কারবারের রমরমা বেড়েছে। পুলিস অবশ্য মাঝে মধ্যেই বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি আটক করে। কিন্তু, অধিকাংশ ক্ষেত্রে মূল কারবারিরা অধরাই থেকে যায়।