বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
রামপুরহাট-দুমকা রোডের ডাকবাংলোপাড়ায় বিশাল জায়গাজুড়ে শতাব্দী প্রাচীন এই স্কুল। বর্তমান সরকারের আমলে স্কুলে লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। এদিন স্কুলে গিয়ে দেখা গেল, পুরনো পাঁচিল ভেঙে প্রায় সাড়ে ছ’ফুট পিছিয়ে নতুন পাঁচিল দেওয়া হয়েছে। আর ওই সাড়ে ছ’ফুট ফাঁকা জায়গায় ১০ ফুট অন্তর পিলার দেওয়ার কাজ চলছে। তা নিয়ে শহরজুড়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সকলকে অন্ধকারে রেখে এই পদক্ষেপ শুধু অনৈতিক নয়, বেআইনিও দাবি করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি মহকুমা শাসকের কাছে স্মারকলিপিও জমা দিয়েছে। একইভাবে সোশ্যাল মিডিয়াতেও সমালোচনা শুরু হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, শহরের বুকে এমনিতেই খোলামেলা পরিবেশে পড়াশোনা করার জায়গার বড়ই অভাব। এই স্কুলে সেই পরিবেশ থাকলেও বর্তমানে তা নষ্ট করা হচ্ছে। তাঁরা বলেন, সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী স্কুল চত্বরে কোনও সিগারেট, বিড়ি বা গুটখার দোকান থাকতে পারবে না। অথচ এই স্কুলের পাঁচিল ঘেঁষে এমন বহু দোকান থাকলেও তা বন্ধ করতে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। উল্টে দোকানঘর নির্মাণ করে স্থায়ী ব্যবসার সুযোগ করে দিচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। বাসিন্দারা এর পিছনে শাসকদলের মদতের অভিযোগ তুলেছেন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের রামপুরহাট শহর সভাপতি সুশান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, এব্যাপারে দল পুরো অন্ধকারে। পুরসভার প্রশাসক অশ্বিনী তেওয়ারি বলেন, এই নির্মাণকাজের জন্য কোনও প্ল্যান পাশ বা অনুমতি নেওয়া হয়নি।
যদিও স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি আরশাদ হোসেন বলেন, পরিচালন কমিটি, শিক্ষক, অভিভাবক সকলের সম্মতি নিয়েই নির্মাণকাজ চলছে। পাঁচিল নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তাছাড়া গুমটির দোকান ও পাঁচিলের মধ্যে ফাঁকা জায়গা অপচয় হচ্ছিল। তাতে ময়লা আবর্জনা, মদের বোতল পড়ে থাকছিল। অস্থায়ী দোকানদাররা বলেছিলেন, ওই জায়গায় তাঁদের জন্য ঘর করে দিতে। পরিবর্তে তাঁরা মাসিক ভাড়া দেবেন। এতে স্কুলের আয় বাড়বে। তবে, এখনও ঘর ভাড়া দেওয়ার ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি। তিনি বলেন, এতদিন স্কুলটিকে হাসপাতাল মনে হচ্ছিল। এই নির্মাণের ফলে দূর থেকে স্কুলটি মানুষের নজরে আসবে। একই কথা বলেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ নুরুজ্জামানও।